জেন-জির বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল, কারফিউ জারি; নিহত ৮

নেপালের রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা
এশিয়া
বিদেশে এখন
1

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্ত ও সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেন-জির আন্দোলনে উত্তাল নেপাল। জেন-জির এ বিক্ষোভ ভয়াবহ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। বিক্ষোভ দমনে পুলিশ গুলি চালালে এখন পর্যন্ত ৮ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

আজ (সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে দেশটির হাজার হাজার বিক্ষোভকারী নিরাপত্তাবাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে রাজধানীতে অবস্থিত পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ে। এখন পর্যন্ত রাজধানী কাঠমান্ডুতেই সীমাবদ্ধ আছে বিক্ষোভ।

এদিকে নেপালের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন শীতল নিবাস, ভাইস প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন, রাজপরিবারের প্রধান প্রাসাদ সিংহ দরবার, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসবভন ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে কাঠমান্ডু পোস্ট সূত্রে জানা গেছে।

নেপালের পতাকা ও বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের অবস্থান |ছবি: সংগৃহীত

যে কারণে ফুঁসে উঠেছে নেপালের জেন-জিরা

দেশটির সরকার সূত্রে জানা যায়, ভুয়া আইডি ব্যবহারকারীরা দেশে কিছু প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ঘৃণা ও গুজব ছড়াচ্ছে, সাইবার অপরাধ করছে এবং সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করছে, যেখানে ৩ কোটি জনসংখ্যার ৯০ শতাংশই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।

রয়টার্স প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, গত বুধবার পর্যন্ত এসব সামাজিক প্ল্যাটফর্মকে নিবন্ধন করার সবশেষ সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার নেপালি সরকার দেশটির টেলিকমিউনিকেশনস অথরিটিকে (এনটিএ) অনিবন্ধিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার পর গত ৪ আগস্ট থেকে ফেসবুক, এক্স, হোয়াটসঅ্যাপসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমধ্যমের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা করার্যকর হয়।

আরও পড়ুন:

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং দেশটির দুর্নীতির সংস্কৃতির অবসানের দাবিতে রাজধানী কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভে নামেন হাজার হাজার তরুণ।

জাতীয় পতাকা উড়িয়ে, জেনারেশন জেড বিক্ষোভকারীরা জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে প্রতিবাদ শুরু করে এবং তারপরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।

টিয়ার শেল পুনরায় নিক্ষেপ করছে এক বিক্ষোভকারী |ছবি: সংগৃহীত

ইনস্টাগ্রামের মতো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নেপালে লাখ লাখ ব্যবহারকারী রয়েছেন— যারা বিনোদন, সংবাদ ও ব্যবসার জন্য এ মাধ্যমগুলোর ওপর নির্ভর করে থাকে।

এএইচ