ইউক্রেনের হামলা, মস্কোর ৪ বিমানবন্দর বন্ধ

ইউরোপ
বিদেশে এখন
0

পাশার দান হয়তো উল্টে যাচ্ছে, দ্বিতীয় দিনের মতো রাশিয়ার বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে মস্কোর গুরুত্বপূর্ণ চার বিমানবন্দর। যদিও ইউক্রেনের অন্তত ১৯টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি ক্রেমলিনের। চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মিত্র দেশগুলোর বিজয় উদযাপনের আগমুহূর্তে হামলা-পাল্টা হামলা দুটোই বেড়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বিশেষ প্রতিবেদন বলছে, গেলো বছর ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে রেকর্ড লোকসান হয়েছে রাশিয়ার। প্রতি স্কয়ার কিলোমিটার এলাকা দখলে প্রাণ যাচ্ছে অন্তত ২৭ রুশ সেনার।

গেলো বছরের পুরো সময়টা ইউক্রেনের সঙ্গে পুরোদমে যুদ্ধ চলেছে রাশিয়ার। এই বছর রুশ সেনাবাহিনীর ৪৫ হাজারের বেশি সদস্যের প্রাণ গেছে। যুদ্ধ শুরুর প্রথম বছরের তুলনায় তৃতীয় বছরে সেনা হতাহতের সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায়ও এই সংখ্যা অনেক বেশি। সংবাদ মাধ্যম বিবিসির বিশ্লেষণ বলছে, প্রতি স্কয়ার কিলোমিটার ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড দখলের বিনিময়ে প্রাণ যাচ্ছে অন্তত ২৭ রুশ সেনার। ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর তিন বছরে ১ লাখের বেশি রুশ সেনার প্রাণ গেছে। যদিও সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সংখ্যা হতে পারে দেড় থেকে আড়াই লাখ।

এমন অবস্থায় চলতি সপ্তাহে জমকালো আয়োজনে উদযাপন হবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান নাৎসিদের বিরুদ্ধে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন আর মিত্র দেশগুলোর বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী। এ উপলক্ষে মাত্র ৩ দিনের যুদ্ধবিরতির রুশ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন। এরপর টানা দ্বিতীয় দিনের মতো মস্কোর গুরুত্বপূর্ণ সব বিমানবন্দরে একযোগে ড্রোন হামলা চালিয়েছে কিয়েভ। মধ্যরাতে এই হামলায় মস্কোর চার বিমানবন্দরের কার্যক্রম কয়েক ঘণ্টার জন্য স্থগিত রাখা হয়। যদিও, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সারাদেশে শতাধিক ড্রোন ধ্বংসের দাবি ক্রেমলিনের।

গেল মার্চে মস্কোয় ৯১টি ড্রোন দিয়ে ভয়াবহ হামলা চালায় কিয়েভ। এতে নিহত হন বেশ কয়েকজন। এরপর মাত্রার দিক দিয়ে সোমবারের হামলাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড়। প্রতিবাদে কিয়েভ আর খারকিভে ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। আগুন ধরে যায় খারকিভের একটি মার্কেটে।

এর আগে গেলো এপ্রিলে ইউক্রেনের দখল করা সীমান্তের কুরস্ক অঞ্চল পুনর্দখলে নেয় রাশিয়া। এই অঞ্চল নয় মাস ইউক্রেনের দখলে ছিল। কিয়েভের দাবি, এখনও সেনা মোতায়েন রয়েছে সীমান্তে। কুরস্ক হাতছাড়া হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ায় হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইউক্রেন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের বিরল খনিজ চুক্তি হলেও যুদ্ধবিরতি নিয়ে এখনও নেই আশার আলো।

এসএস