১৯৮৬ সালে রেস্তোরাঁটি চালু করেন ৬৮ বছর বয়সী শেফ পাসার্ড। এক বছরের মাথায় জনপ্রিয়তা পায় রেস্তোরাঁটি। সেসময় তিনি সবরকমের খাবারই পরিবেশন করতেন। কিন্তু বেশ কয়েকবছর পর ২ হাজার সালের দিকে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন শুধু উদ্ভিজ্জ খাবার তৈরিতেই মনোনিবেশ করবেন।
শেফ অ্যালাইন পাসার্ড বলেন, ‘আমি গাছপালা নিয়ে সম্পূর্ণ শৈল্পিক এক জগতে প্রবেশ করেছি। হঠাৎ একদিন এ চিন্তা মাথায় এলো। যা আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে।’
সবজি খেতে ভালোবাসেন এমন ভোক্তাদের ভিড় লেগে থাকে রেস্তোরাঁয়। এখানে দুপুরে খাবারের জন্য গুণতে হবে ২৬০ ইউরো। আর গ্র্যান্ড মেন্যুর জন্য খরচ হবে ৪২০ ইউরো পর্যন্ত।
রেস্তোরাঁয় আসা ভোক্তারা বলেন, ‘আসলে অবিশ্বাস্য! কিন্তু আমার মনে হয় না অন্য কোনো রেস্টুরেন্টে এমন অভিজ্ঞতা সম্ভব। এটা সত্যিই খুব ভালো। অসাধারণ খেতে। খুবই সুস্বাদু। কাঁচা সবজির যে গন্ধটা পাচ্ছেন সেটাও বেশ অসাধারন।’
রান্নার জন্য নিজস্ব জমি থেকে মৌসুমি সবজিগুলো সংগ্রহ করা হয়। খাবারের স্বাদ, বর্ণ ও গন্ধ যেন ঠিক থাকে সেজন্য শেফ নিজেই সবজি সংগ্রহ করেন। বর্তমানে ৩৫ জন সাহায্যকারী কাজ করেন রেস্তোরাঁয়। উদ্ভিজ্জ খাবারকে এক অন্য শৈল্পিক পরিচয় দিতে চান শেফ অ্যালাইন পাসার্ড।