ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত ২৬ হাজার ফিলিস্তিনি

মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) নির্দেশ উপেক্ষা করেই হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। গাজার খান ইউনিস শহরকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে দখলদাররা। আর হামাস নির্মূলের অজুহাত দেখিয়ে উপত্যকাটিতে একের পর এক হামলা করছে তেল আবিব।

এদিকে ইসরাইলের এখন মূল টার্গেট খান ইউনিস ও আল নাসের হাসপাতাল। সেখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।

খান ইউনিসে ইসরাইলি আগ্রাসন থেকে বাঁচতে ফিলিস্তিনিরা রাফাহ ক্রসিং সীমান্তে ভিড় করছেন। সেখানেও মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন বাস্তুচ্যুতরা। সুয়ারেজের পানি দিয়ে রাফা ক্রসিং অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি রাস্তায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

|undefined

এর মধ্যে আবার প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি খাবারের সন্ধানে ক্ষুধার যন্ত্রণায় দিশেহারা হয়ে ছুটছেন।

এক ফিলিস্তিনি বলেন, তিন মাসের মধ্যে এই প্রথম এক বস্তা আটা পেয়েছি। এটুকু আটা পরিবারের ৭ জনের খাবার।

আরকজন বলেন, আটা নিতে এসে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে। ঘরে তিন সন্তান, জানি না কীভাবে ওদের খাবারের ব্যবস্থা করবো?

গাজার সার্বিক পরিস্থিতি দেখে জাতিসংঘ বলছে, গাজায় এই পরিস্থিতি তৈরি করে ফিলিস্তিনিদের ওপর কঠিন প্রতিশোধ নিচ্ছে ইসরাইল। ইসরাইল বলছে, খান ইউনিস ছেড়ে সব বাসিন্দারা যেন দূরে চলে যায়।

এদিকে হামাসের হাতে জিম্মি থাকা বন্দিদের মুক্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, বন্দিদের ফিরে পেতে হামাসকে চাপ দেয়া ছাড়া বিকল্প নেই। হামাসকে ছেড়ে দেব না। কাতার হামাসকে পৃষ্ঠপোষকতা করে, অর্থও যোগান দেয়। তাই কাতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জিম্মিদের ফিরিয়ে দিতে তারা সহায়তা করবে।

|undefined

এদিকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে স্পেনের মাদ্রিদে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে কয়েক হাজার মানুষ।