আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, জাতিসংঘ, ছোট-বড় মানবাধিকার সংস্থা- কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করা একটি দেশ, শেষ পর্যন্ত নতজানু হয়েছে প্রকৃতির সামনে। বহুল প্রতীক্ষিত স্বাধীনতা দিবসের আয়োজন ভেস্তে গেছে ভয়াবহ দাবানলে।
বুধবার সকালে ইসরাইল দখলকৃত জেরুজালেমের বিভিন্ন পাহাড় থেকে আগুনের সূত্রপাত। ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে বইতে থাকা বাতাস আর শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে দাবানল ছড়িয়েছে ৫ হাজার একর এলাকাজুড়ে। যার মধ্যে বনভূমির পরিমাণ অন্তত সাড়ে ৩ হাজার একর।
ইসরাইলি গণমাধ্যম বলছে, দমকল বিভাগের দেড় শতাধিক দল ও ১২টি বিমানের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চেষ্টার পর কিছুটা আগুন নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও দেশজুড়ে জারি আছে জরুরি অবস্থা। বন্ধ রাখা হয়েছে রাজধানী তেল-আবিব থেকে জেরুজালেমগামী প্রধান সড়ক রুট ওয়ান। গেল দুই দিনে স্থানীয়দের পাশাপাশি দগ্ধ ও আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন দমকল কর্মী।
বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণের পর দাবানল নিয়ন্ত্রণে তেল আবিবের পাশে থাকার আহ্বানে সাড়া দিয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি, ক্রোয়েশিয়া, স্পেন, রোমানিয়া, নর্থ মেসিডোনিয়া ও সাইপ্রাস। পানি ছেটাতে সক্ষম এমন এয়ারক্রাফট ইসরাইলে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে তারা।
এর আগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী জানান, দাবানলের ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। অথচ ইসরাইলি পুলিশের সূত্রের বরাতে টাইমস অব ইসরাইল ও জেরুজালেম পোস্ট বলছে, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে মাত্র ৩ জনকে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইসরাইলি পুলিশের তথ্যের এই গড়মিল নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন তুলছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের জেরে বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে ইসরাইল। হামাস নির্মূলের নামে হতভাগ্য ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যা করছে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী। সামাজিক মাধ্যমে ইসরাইলের এই বিপর্যয়কে সৃষ্টিকর্তার বিচার বলে দাবি করছেন অনেকেই।