দোকানে সাজানো হরেক রকমের আইসক্রিম। ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ী তৈরি করে দেয়া হচ্ছে স্কুপ। এই আইসক্রিমের মধ্যে লুকানো ফিলিস্তিনি খাবারের স্বাদ।
আরব আমিরাতে আজমানে চালু হয়েছে ফিলিস্তিনি এ আইসক্রিম পার্লার। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার মোহাম্মদ কাজেম আবু শাবান জানান, ১৯৫০ সালে উত্তর গাজায় প্রথম শুরু করেন এ আইসক্রিম পার্লার। দীর্ঘ ৭০ বছরেরও বেশি সময় এটি চালু থাকলেও গাজা যুদ্ধে পড়েছে ব্যবসায় ভাটা। সব গুটিয়ে আরব আমিরাতে আজমানে শুরু করেন এ আইসক্রিম পার্লার। ভিনদেশে এ ব্যবসা শুরু করলেও তিনি জানান, স্বাদের ক্ষেত্রে এখনও বজায় রেখেছেন ফিলিস্তিনি ঐতিহ্য।
আইসক্রিম পার্লারের একজন বলেন, ‘আপনি জানেন, গাজার পরিস্থিতি খারাপ। ব্যবসার পরিবেশ নেই, কোনো উপকরণ নেই, সরবরাহ নেই। তারপর সব বন্ধ করে দেই। এখানের প্রতিক্রিয়া খুবই ইতিবাচক। দর্শনার্থীরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে আসেন। যখনই তারা এখানে আসেন, তারা বলেন, তুমি আমার স্মৃতি, পুনরুজ্জীবিত করেছো। সেই স্মৃতি যখন তারা গাজায় যেতেন এবং আইসক্রিম খেত।’
এরইমধ্যে স্থানীয়দের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই আইসক্রিম পার্লার। পেয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। পরিবার পরিজনের পাশাপাশি বন্ধুদের নিয়েও ফিলিস্তিনের আইসক্রিমের স্বাদ নিতে আসছেন অনেকে।
ক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমি এ জায়গায় এসেছি কারণ আমি সবাইকে আইসক্রিমের স্বাদ নিয়ে কথা বলতে শুনেছি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে, সবাই এটার প্রশংসা করে। ফিলিস্তিনি, মিশরীয়, পাকিস্তানি ও ভারতীয় সবার কাছে এটা পছন্দের।’
আরও পড়ুন:
ফিলিস্তিনে কাজেমের আইসক্রিমের কথা শুনেছি। সবার কাছে এটি ছিল শীর্ষে, সেরা আইসক্রিম এবং জুসের জায়গা।যখন আমি শুনলাম এটি আজমানে, তখন আমি খুব খুশি হয়েছি । একজন ফিলিস্তিনি হিসেবে, সে তার নিজ দেশের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে পর্যটন এবং ব্যবসায়িক কেন্দ্র দুবাই থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার উত্তরের শহরে চলছে ফিলিস্তিনি এই আইসক্রিম পার্লার। শিগগিরিই আবুধাবির অন্যান্য শহরে আরও আউটলেট খোলার আশা ব্যবসায়ীর।