যেই দেশেই যুদ্ধ শুরু হয়, সমরাস্ত্র নিয়ে হাজির হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। বিনামূল্যে নয়, মোটা অঙ্কের অর্থ পরিশোধ করেই কিনে নিতে হয় এই অস্ত্র। এখন পর্যন্ত বিশ্বের শীর্ষ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সামরিক শক্তিতে শীর্ষ এই দেশের এবার নিজেরই প্রয়োজন পড়ছে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার।
বহির্বিশ্বের হামলা ঠেকাতে এবার আয়রন ডোম, থাড কিংবা প্যাট্রিয়ট নয়, সরাসরি গোল্ডেন ডোম তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, গোল্ডেন ডোম মিসাইল সিস্টেমের জন্য শনাক্ত করা হয়েছে ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের ডিজাইন। এই মিসাইল ডিফেন্সের কাজই থাকবে চীন আর রাশিয়ার যেকোনো হুমকি–হামলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বাঁচানো।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন পড়বে তিন বছর। পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গেলে এই গোল্ডেন ডোম পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে আসা মিসাইল ধ্বংস করে দেবে। এমনকি মহাকাশ থেকে আসা ক্ষেপণাস্ত্রও ধ্বংস করে দেবে এই মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। এই শিল্ড তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে স্পেস এক্সসহ নামি দামি প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে। ইসরাইলের আয়রন ডোম থেকে উৎসাহ পেয়েই তৈরি হচ্ছে গোল্ডেন ডোম।’
এই মিসাইলের আকার নিয়ে এখনও কিছু জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে আয়রন ডোমের চেয়ে সাড়ে ৪০০ গুণ বড় হবে এই গোল্ডেন ডোম। আয়রন ডোম সুরক্ষা দিতে পারতো নিউ জার্সি আয়তনের দেশকে। গোল্ডেন ডোম অত্যাধুনিক ব্যালিস্টিক আর হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে পুরো দেশকে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, দেশকে সুরক্ষা দেবে এই মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। তবে এই ব্যবস্থা স্থাপন করা বেশ সময়সাপেক্ষ।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘গোল্ডেন ডোমের এই প্রকল্পকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের প্রকল্প উল্লেখ করলেও কংগ্রেশনাল বাজেট অফিসের পূর্বাভাস বলছে, শুধু গোল্ডেন ডোম তৈরিতে আগামী ২০ বছরে ব্যয় হতে পারে ৫৪ হাজার কোটি ডলার। মহাকাশভিত্তিক সিস্টেম তৈরিতে খরচ পড়বে আগের তুলনায় অনেক বেশি।’