ইরানের নৌ পরিবহন শিল্পকে টার্গেট করে দেশটির ওপর আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো যুক্তরাষ্ট্র। যার আওতায় রয়েছে ১৫টি শিপিং কোম্পানি, ৫২টি জাহাজ, ১২ জন ব্যক্তি এবং ৫৩টি প্রতিষ্ঠান। বুধবার মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
ইরানের ওপর চাপ বাড়াতেই মার্কিন প্রশাসনের এই পদক্ষেপ। বিশেষ করে জুন মাসে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে চালানো বিমান হামলার পর এটি আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, ইরান যাতে তেল বিক্রি করতে না পারে সেই লক্ষ্যেই ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা।
নতুন এই নিষেধাজ্ঞায় মূলত মোহাম্মদ হোসেইন শামখানি নামক এক ব্যক্তির মালিকানাধীন শিপিং স্বার্থকে টার্গেট করা হয়েছে। তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উপদেষ্টা আলি শামখানির পুত্র। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ একে ২০১৮ সালের পর থেকে ইরানকে ঘিরে সবচেয়ে বড় নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম হিসেবে অভিহিত করেছে।
আরও পড়ুন:
ট্রেজারি বিভাগের অভিযোগ, মোহাম্মদ হোসেইন শামখানি একটি জটিল মধ্যস্থতাকারী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কন্টেইনার জাহাজ ও ট্যাংকার পরিচালনা করেন, যা ইরান ও রাশিয়ার তেলসহ বিভিন্ন পণ্য বিশ্ববাজারে বিক্রি করে। তাই তেহরানের প্রভাবশালী সংযোগ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে শামখানি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মুনাফা অর্জন করেছেন, যা ইরানের সরকারকে সহায়তা করতে ব্যবহার করা হয়।
ইরানের কাছ থেকে মূলত চীন সবচেয়ে বেশি তেল কিনে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপের ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশে তেল রপ্তানি করা ইরানের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। তবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের সরবরাহে এটি তেমন কোন প্রভাব ফেলবে না বলে জানায় মার্কিন প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জানান, ইরানের ওপর আরোপ করা যেকোনো নিষেধাজ্ঞার জবাব আরও কঠিন ভাবে দেয়া হবে।