চার্লি কার্ক হত্যায় এফবিআই’র ভিডিও প্রকাশ, জাতিসংঘের অভিযোগ

চার্লি কার্ক
উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ডানপন্থী নেতা ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহচর চার্লি কার্কের হত্যাকারীর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে এফবিআই। পাশাপাশি আততায়ীকে ধরিয়ে দিতে পারলে এক লাখ ডলার পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি। এদিকে চার্লি কার্কের মরদেহ নেয়া হয়েছে অ্যারিজোনায়। ইউটাহসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে চার্লির জন্য শোকসভার আয়োজন করেছে সমর্থক-অনুরাগীরা। এদিকে রাজনৈতিক সহিংসতার জেরে চার্লিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছে জাতিসংঘ।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের ছাদ থেকে কোনমতে নেমে পার্কিং এর দিকে ছুটে যাচ্ছেন কালো টিশার্ট পড়া এক ব্যক্তি। ক্যাম্পাসের সার্ভেইলেন্স ক্যামেরায় ধরা পড়া এ ব্যক্তিই ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহচর চার্লি কার্কের হত্যাকারী- এমন দাবি করছে এফবিআই।

এর আগে গতকাল (বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর) ওই ব্যক্তির কিছু স্টিল ছবি প্রকাশ করে এফবিআই। উদ্ধার করা হয়েছে একটি বোল্ট অ্যাকশন রাইফেল। তবে এ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে চার্লিকে হত্যা করা হয়েছিল কী না তা জানা যায়নি। তদন্তে কিছুটা অগ্রগতি হলেও হত্যাকারীর সন্ধান পেতে স্থানীয়দের সহায়তা চেয়েছেন ইউটার গভর্নর। আর তাকে ধরিয়ে দিতে সাহায্য করলে এক লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে এফবিআই।

ইউটাহর গভর্নর স্পেন্সার কক্স বলেন, ‘নাগরিকদের সহায়তা ছাড়া আমাদের একার পক্ষে কাজটি করা সম্ভব না। স্থানীয়রা আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন। প্রায় সাত হাজার নতুন সূত্র ও তথ্য পেয়েছি তাদের কাজ থেকে। জেনে অবাক হবেন বস্টন ম্যারাথন বোম্বিং এর চেয়ে বেশি টিপস পেয়েছে এফবিআই।’

এর আগে বৃহস্পতিবার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের নেতৃত্বে ইউএস এয়ার ফোর্স টু বিমানে করে চার্লির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় অ্যারিজোনায়। এসময় অর্ধনমিত পতাকা নিয়ে বিমানবন্দরের বাইরে অবস্থান করছিলেন চার্লির সমর্থকরা। অ্যারিজোনার ফিনিক্স শহরে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন ও বিতর্ক সভা আয়োজন করে ডানপন্থী কর্মী হিসেবে জনপ্রিয়তা পান চার্লি। তার স্ত্রী এরিকাও অ্যারিজোনার বাসিন্দা।

আরও পড়ুন:

এদিকে চার্লির ওপর এ হামলাকে রাজনৈতিক সহিংসতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা বিষয়টির ওপর নজর রাখছি। এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার তীব্র সমালোচনা করছি। গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হতে পারে এমন সব ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে জাতিসংঘ।’

অন্যদিকে চার্লির মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। টেক্সাস, অ্যারিজোনা, ফ্লোরিডাসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে শোকসভা আয়োজন করেছে চার্লির ভক্ত-অনুরাগীরা।

ভক্তদের মধ্যে একজন বলেন, ‘অনেকেই চার্লির তুলনা খুঁজছেন। আমার এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই। আমার কাছে চার্লি মার্টিন লুথার কিংয়ের মতো একজন কিংবদন্তি।’

অন্য একজন বলেন, ‘তাকে বড় হয়ে উঠতে দেখেছি। প্রতিবাদের মাধ্যমে সে আমাদের হৃদয় ও আত্মাকে স্পর্শ করছে।’

তরুণ এ অ্যাক্টিভিস্টের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর স্পেন ও জার্মানিতে স্মরণ সভার আয়োজন করেছে তার অনুসারীরা।

এসএস