মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড: ৮ জনের রিমান্ডে শুনানি ২০ এপ্রিল

মানিকগঞ্জ
মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা
এখন জনপদে
আইন ও আদালত
0

পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফ নির্মাণকে কেন্দ্র করে মানিকগঞ্জে চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৮ জনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। তবে আজ (বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল) আদালত রিমান্ড আবেদনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ২০ এপ্রিল ধার্য করেন এবং অভিযুক্তদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. জিয়াউদ্দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের পাঞ্চনখাড়া গ্রামের খান মো. রাফি সৃজন ওরফে রাজু (১৮), একই ইউনিয়নের চান্দাইর বাড়ি মোড় এলাকার মো. আল আমিন খান তমাল (২২), পাঞ্চনখাড়া গ্রামের মঈন উদ্দিন আহমেদ পিয়াস (২২), বড় ষাটা গ্রামের মো. বাবুল হোসেন (৬০), দক্ষিণ উথলী গ্রামের মো. মীর মারুক (২১) ও মীর আমিনুর (২৬), পূর্ব দাশড়া এলাকার সঞ্জিব ঘোষ এবং শিবালয় উপজেলার অন্বয়পুর গ্রামের মো. মোশারফ হোসেন (৪৮)।

গ্রেপ্তারকৃতদের সবাই আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমান উল্লাহ বলেন, 'ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তৎপরভাবে অভিযান পরিচালনা করছে। আজ দুপুর পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত রিমান্ড আবেদনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ২০ এপ্রিল ধার্য করেন এবং অভিযুক্তদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।'

আরো পড়ুন:

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত আড়াইটার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের চান্দইর ঘোষের বাজার এলাকায় চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বৈশাখি শোভাযাত্রার মোটিফ নির্মাণের জেরে দীর্ঘদিন ধরে হুমকির মুখে থাকা এই শিল্পীর বাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, 'ঘটনাটি দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করছে। সরকার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। পুড়ে যাওয়া ঘরটি মানবেন্দ্র ঘোষের ইচ্ছামতো সরকারিভাবে পুন:নির্মাণ করে দেওয়া হবে।'

চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, 'আমি চাই, বিষয়টি যেন সম্পূর্ণ শিল্প-সংস্কৃতির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা করা হয়। এখানে কোনো ধর্ম বা রাজনীতির বিষয় নেই। সরকারকে অনুরোধ করবো, এই ঘটনার যেন কোনো রাজনৈতিক বা ধর্মীয় রূপ দেওয়া না হয়। একইসঙ্গে আমার ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানাচ্ছি।'

এ ঘটনায় জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতারা বলছেন, একজন শিল্পীর প্রতি এমন নির্মম আচরণ শুধু ব্যক্তি নয়, গোটা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের ওপর আঘাত।

সেজু