ফলে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের মামলার তদন্ত শেষ করতে আরো ৬ মাস সময় দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরসাদুর রউফ এই তথ্য জানান।
রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, ডিবির কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডে মামলার সংরক্ষিত কিছু নথি আগুনে পুড়ে গেছে। যদিও এই নথি পুড়েছে ৫ আগস্টের আগুনে।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ হাইকোর্টকে বলেন, 'এটার তদন্তের অগ্রগতি হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, মামলার তদন্ত শেষ করতে। কিন্তু আরো কিছু সময় প্রয়োজন। এ জন্য ৯ মাস সময় চাওয়া হয়। পরে আদালত ২২ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলেন।'
আরো পড়ুন:
এর আগে রোববার (২ মার্চ) সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১১৬ বার পিছিয়ে ১৫ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়েছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব র্যাব থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বহুল আলোচিত সাগর রুনি হত্যা মামলার তদন্ত চেয়ে দায়েরকৃত রিটের আদেশ মোডিফিকেশন চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে এ আদেশ দেয় উচ্চ আদালত।
রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া করা বাসায় ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি খুন হন সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। ঘটনার সময় বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ।
এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আলোড়ন সৃষ্টি করা ওই হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর বছরের পর বছর গড়ালেও হত্যা রহস্যের কিনারা হয়নি।