আজ (রোববার, ৪ মে) দুপুরে জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামীল শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালসহ জেলার শীর্ষ নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ডাকাতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া নেতার নাম ফকির মাহবুব আনাম স্বপন।
ফকির মাহবুব আনাম স্বপন ফকিরের ভাতিজা শরীফুল ইসলাম শরীফ জানান, স্বপন ফকিরের খামারবাড়ির একাংশে ফ্যাক্টরি রয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে ওই ফ্যাক্টরির পেছনের গেট কেটে ১৫ থেকে ১৬ জনের ডাকাতদল ফ্যাক্টরিতে প্রবেশ করে।
ডাকাতেরা কারখানায় ঢুকেই অদূরে থাকা নৈশ প্রহরীর হাত-পা, মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর ডাকাতেরা প্রধান ফটকের পাশে থাকা গার্ডকেও একইভাবে বেঁধে রাখে। পরে তারা বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করে কারখানার ট্রান্সফরমারের ভেতরের যন্ত্রপাতি খুলে নেয়।
জেনারেটরের ঘরে গিয়ে মূল্যবান তার ও ব্যাটারিগুলো নিয়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ট্রাকযোগে মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ময়মনসিংহ পল্লি বিদ্যুৎ মধুপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম এমাজ উদ্দিন সরদার বলেন, ‘আনাম গ্রিন ফুয়েল এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্স ফার্নেস ওয়েল কারখানার ২০০ কেভি ট্রান্সফরমারের যন্ত্রপাতি খুলে নিয়ে গেছে ডাকাতের দল। যার মূল্য ৪৫-৫০ লাখ টাকা। এছাড়া বৈদ্যুতিক মূল্যবান তার, কিছু নগদ টাকা নিয়ে যাওয়ার খবর শুনেছি।’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল ও সভাপতি হাসানুজ্জামীল শাহীন বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মনে হয়েছে এটি পরিকল্পিত।’
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমরানুল কবীর বলেন, ‘মামলার পর তদন্ত করা হচ্ছে। দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।’