গ্রেপ্তারকৃতদের আজ (শুক্রবার, ৯ মে) ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মো. হারুন অর রশিদ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দাদপুর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদুর রহমান হাই (৬৩), দাদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য নাজিমুদ্দিন (৪০), রূপাপাত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুল ইসলাম (৪৫), রুপাপাত ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরু শরীফ (৪২) ও একই উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক টুটুল মিয়া (৩৮)।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জানুয়ারি জেলার আলফাডাঙ্গা থানায় মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও শিক্ষকসহ আওয়ামী লীগের ১৭০ নেতাকর্মীর নামে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন আলফাডাঙ্গা পৌরসদরের বুড়াইচ এলাকার ইদ্রিস সরদারের ছেলে বিএনপির সমর্থক দিনমজুর লাভলু সরদার।
এ মামলায় পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুলকেও আসামি করা হয়। এ মামলায় আড়াই থেকে তিন হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলার আসামিদের মধ্যে অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে মামলাটির প্রথম শ্রেণির নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে বোয়ালমারী থানা পুলিশ ও আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের পাঁচ নেতাকে যার যার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের শুক্রবার সকালে আলফাডাঙ্গা থানায় পাঠানো হয়েছে।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আলফাডাঙ্গা থানায় হওয়া একটি বিস্ফোরক মামলায় দুই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সকলেই বোয়ালমারী উপজেলার বাসিন্দা। অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের শুক্রবার ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।’