রমনায় বর্ষবরণে বোমা হামলা: দুই আসামিকে যাবজ্জীবন, ৯ জনকে ১০ বছরের সাজা

সংসদ সদস্য ও নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুতে আইনি নোটিশ
আইন ও আদালত
0

দুই যুগ আগে রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় হত্যা মামলায় ৯ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ২ আসামিকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেয়া হয়েছে। হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ তিন আসামি মারা যাওয়ায় তাদের বাদ দেয়া হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার, ১৩ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা হয়। এতে ঘটনাস্থলে ৯ জনসহ মারা যান ১০ জন। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রুহুল আমিন রায় দেন। রায়ে মুফতি হান্নানসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মুফতি হান্নান ছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন— আকবর হোসেন, আরিফ হাসান, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আবদুল হাই ও শফিকুর রহমান। তবে সিলেটে গ্রেনেড হামলা মামলায় ইতোমধ্যে মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।

আর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মাওলানা আবদুর রউফ ও ইয়াহিয়া মারা গেছেন। কারাগারে আছেন শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল, সাব্বির, শেখ ফরিদ, ও আবু তাহের।

রায়ে মাওলানা তাজউদ্দীন ও জুয়েলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজা কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন।

হাইকোর্ট তার রায়ে বলেন, রমনার বটমূলে বর্ষবরণে বোমা হামলা ছিলো মুক্তচিন্তা ও প্রগতিশীল ধারণার উপর আঘাত।

তবে, সাজার বিরুদ্ধে আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ।

আসামিপক্ষের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ না পেলেও নৈতিক কারণে দণ্ড দেয়া হয়েছে।’ তবে সাজাকে সঠিক মনে করছে না আসামিপক্ষ।

এ মামলায় মাওলানা তাজউদ্দীন পলাতক রয়েছেন। তিনজন মারা গেছেন। ১০ আসামি কারাগারে আছেন।

এনএইচ