গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) মামলাটি দায়ের করেন নিহত সোহেলের বন্ধু ও সহকর্মী আব্দুল হামিদ (২১)। এ মামলায় ওবায়দুল কাদের ও শামীম ওসমান ছাড়া এজাহারনামীয় আর কোনো আসামি নেই। তবে মামলাটিতে ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা যায় , বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২০ জুলাই বিকেলে উল্লিখিত আসামিদের নির্দেশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকার একটি মার্কেটের ২য় তলায় ডাচ বাংলা ব্যাংকের ভেতরে কাজ করার সময় অগ্নিসংযোগ আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতকারীরা।
এসময় হামিদ ও সোহেল ধোয়ার কারণে কিছু দেখতে না পেয়ে ছুটাছুটি করতে থাকে। এক পর্যায়ে হামিদ আগুন থেকে বাঁচার জন্য দুই তলা থেকে লাফ দিয়ে আহত হয়। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনার দুদিন পর কিছুটা সুস্থ হয়ে হামিদ তার বন্ধু সোহেলকে খুঁজতে থাকে।
কোথাও খুঁজে না পেয়ে ২২ জুলাই সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় পুড়ে যাওয়া ডাচ বাংলা ব্যাংকের ভেতর যায় সে। পরে সেখানে সোহেলের আগুনে পোড়া মৃত দেহ পায় হামিদ। সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
জানা যায়, নিহত সোহেল সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার থানার কাকুড়া গ্রামের মৃত তখলিছুর রহমানের ছেলে। সে সুপিরিয়র ইন্টেরিয়র নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবে। গত বছরের জুলাই মাসে তার অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকার ডাচ বাংলা ব্যাংকের সংস্কার কাজ করছিলেন। ঘটনার প্রায় দশ মাস পরে নিহত সোহেলের বন্ধু হামিদ বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহিনূর আলম জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ডাচ বাংলা ব্যাংকে দেওয়া আগুনে পুড়ে নিহত সোহেলের বন্ধু হামিদ বাদী হয়ে গত ২২ মে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।