আজ (বুধবার, ২৮ মে) আইন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সহযোগিতাও চেয়ে বলা হয়েছে, দ্রুত প্রত্যাহারের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের পাঠানো সব মামলার এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিট আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে অবিলম্বে দাখিলের অনুরোধ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ-সংক্রান্ত পোস্টে এসব তথ্য তুলে ধরেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিলম্বের অভিযোগ করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই অভিযোগ বস্তুনিষ্ঠ নয়।
এতে বলা হয়, এ ধরনের মামলা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি ২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গঠিত হওয়ার পর থেকে নিয়মিত সভায় মিলিত হচ্ছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, এসব সভায় মামলা প্রত্যাহারসংক্রান্ত জেলা পর্যায়ের কমিটি এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পাঠানো তালিকা ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হচ্ছে। আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি এ পর্যন্ত ১৬টি সভায় ১১ হাজার ৪৪৮টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে এবং এই কার্যক্রম চলমান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রম আরো বেগবান করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে রাজনৈতিক দলগুলো থেকেও হয়রানিমূলক মামলার তালিকা প্রদানের সুযোগ রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২০২৫ সালের ১০ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার মামলার তালিকা এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গত ২৭ এপ্রিল ১ হাজার ২০০টি মামলার তালিকা দিয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব মামলার মধ্যে প্রায় অর্ধেক ইতোমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির উদ্যোগে প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। রাজনৈতিক দল দুটোর পাঠানো তালিকার সঙ্গে মামলা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র (এজাহার ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিট) না পাঠানোয় অন্যান্য মামলা প্রত্যাহারে বিলম্ব হচ্ছে।
অন্যদিকে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ গত ২০ মে ৪৪টি মামলা প্রত্যাহার করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে তালিকা দিয়েছে। এসব মামলার কাগজপত্র পরীক্ষা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।