চট্টগ্রামের কর্ণফুলী বাজার। চালের সরবরাহে কোন ঘাটতি না থাকলেও গেল এক মাস ধরেই দর বাড়তি। ৫০ কেজির বস্তায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চালের দাম।
পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাটারি, জিরাশাইল, নাজিরশাইল ও মিনিকেটসহ প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে চার থেকে ৯ টাকা পর্যন্ত। পরিবহন খরচ বাড়ায় ও বড় প্রতিষ্ঠানের মজুত দাম বৃদ্ধির মূল কারণ বলছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘একমাস আগে তো প্রথম দিনে তিন হাজার ৬০০ টাকা কেনা পড়ছিল। এর সঙ্গে গাড়িভাড়া ছিল।’
একই পরিস্থিতি কুষ্টিয়ার খাজানগরে। প্রশাসনের অভিযানকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে বাড়তি দামে চাল বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। কেজিতে তিন থেকে চার টাকা বেড়ে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায় আর বাসমতি বিক্রি হচ্ছে ৯৪ টাকায়। আর কাজললতা চাল কিনতে ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা।
চালের বাজার ঘুরে ক্রেতা যখন সবজির বাজারে স্বস্তি নেই সেখানেও। সপ্তাহের ব্যবধানে পটল, কাকরোল, ঢ্যারসসহ বেশিরভাগ সবজির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। তবে সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। গেল সপ্তাহে প্রতি কেজি বেগুন ৬০ টাকার বিক্রি হলেও আজকের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়।
ক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘পাইকারি বাজারে যে সবজির দাম কিন্তু খুচরা বাজারে এসে দেখছি তার চেয়ে দ্বিগুণ দাম। বেগুন গত সপ্তাহে কিনে নিয়ে গেছি ৬০ টাকা। এখন কিনতেছি ১১০ থেকে ১২০ টাকা।’
এদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বরিশালের মাছের বাজারে বেড়েছে ক্রেতার ভিড়। তবে সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে চড়া ইলিশের বাজার। ক্রেতারা বলছেন, গেল সপ্তাহে ১৮ শ থেকে ২ হাজার টাকায় ইলিশ মাছ বিক্রি হলেও আজকের বাজারে বিক্রি হয় দুই হাজার ৩০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকায়।
রাজশাহীতে চড়া মাংসের বাজার। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। আর সোনালি মুরগি ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। তবে দেশি মুরগি কেজিতে ৫৪০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়।