চারদিকে যখন রাজনীতির উত্তাপ-আন্দোলন আর নির্বাচনী ও সংস্কারের আলাপ, তখন নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় বাজার করতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ জনতা।
ঢাকার বাসিন্দা, সোহাগ রহমান বলছিলেন, মধ্যবিত্ত শ্রেণির সেই দুর্ভোগের কথা, সরকারের কাছে তার আহ্বান- বাজারের চড়া দাম নিয়ন্ত্রণের।
সোহাগ রহমান বলেন, ‘এই বাজার যারা নিয়ন্ত্রণ করে, তারা যদি আর একটু নিয়ন্ত্রণ করলে তাহলে ভালো হয় জনসাধারণের জন্য।’
আবহাওয়ার কারণে আলু, পটল, শসা, গাজরসহ দাম বাড়তি প্রায় সব সবজির। বিশেষ করে মরিচ এবং বেগুনের দাম সবচেয়ে বেশি। কারওয়ান বাজার থেকে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিতে কাঁচামরিচ কিনে তা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে আড়াই শ’ থেকে তিন শ’ টাকায়। পাইকারিতে বেগুন ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই বাজারে।
ক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘মরিচের দাম কমেনি। বরং দিনে দিনে আরও বাড়ছে। পাঁচ টাকা বাড়লে সেটা আর কমছে না।’
এছাড়াও দামের ধারাবাহিক ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রেখেই মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৮২ টাকায়, নাজিরশাইল চাল ৮৪ থেকে ৮৮ টাকায়, যা অনেকটাই সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।
বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘মিনিকেট চাল এখন ৮০ থেকে ৮২ টাকা বিক্রি করছি। আর আটাশ বিক্রি করছি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। যেটা ঈদের আগে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা ছিল।’
এদিকে মুরগির বাজারেও দেখা গেছে অস্থিরতা। সোনালি, ব্রয়লারসহ সব মুরগিই আগের সপ্তাহের মতো ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এখন তো আমদানি কম, ব্রয়লারের আমদানি আছে সেজন্য ব্রয়লারের দাম কম। সোনালি যখন আমদানি থাকবে তখন দাম এমনিই কমবে।’
নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে সবজি-চাল-মুরগিসহ দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশা ক্রেতা-বিক্রেতাদের।