প্রতিবারের মতো এবারও হুমায়ূন পরিবার, তার ভক্ত, কবি, লেখক আর নাট্যজনেরা ফুল হাতে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন নুহাশপল্লীর লিচুতলায়। নন্দিত লেখকের প্রিয় চরিত্র হলুদ পাঞ্জাবিতে হিমু এবং নীল শাড়িতে রূপা সেজে আসেন ভক্ত ও পাঠকেরা।
কবর জিয়ারত শেষ হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান। হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্নের ক্যান্সার হাসপাতাল ও জাদুঘর নির্মাণে কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
শাওন বলেন, ‘ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ একার পক্ষে সম্ভব নয়, তবে কানাডা থেকে একদল চিকিৎসক ও ব্যবসায়ী যোগাযোগ করেছেন, তারা ক্যান্সার হাসপাতাল শুরুর উদ্যোগ নিতে চান।’
এদিকে নেত্রকোনায় হুমায়ূন ভক্তরা উদযাপন করেছে হিমু উৎসব । এ উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো আয়োজন করা হয় আনন্দ শোভাযাত্রা ও পাঠক আড্ডার। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিক্ষক, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দরা তরুণদের সাথে হিমু উৎসবের এই আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেন। নারীরা নীল শাড়িতে রুপা এবং পুরুষেরা হলুদ পাঞ্জাবি ও টি শার্ট পড়ে হিমু সেজে নান্দনিক শোভাযাত্রা শেষ করেন।
সাতপাই সংগঠনের কার্যালয় থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেছেন বরেণ্য বুদ্ধিজীবী ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক যতীন সরকার। তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে এবার তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
পরে হুমায়ূন আহমেদের নাটক সিনেমায় ব্যবহৃত গানের তালে তালে সাতপাই থেকে আনন্দ শোভাযাত্রাটি মোক্তারপাড়া আসলে পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিপীন চন্দ্র বিশ্বাস হিমু-রুপাদের বরণ করে নেয়।
শোভাযাত্রাটি শেষ হয় ঐতিহাসিক মোক্তারপাড়া মাঠের মুক্তমঞ্চে এসে। এখানে হিমু-রুপাদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন অতিথিরা।
এ সময় স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন, সাহিত্য-সংস্কৃতিতে হুমায়ূন আহমেদের অবদান জাতি আজীবন স্মরণ করবে।