ভবনে অগ্নিকাণ্ড ও এসব ঘটনায় হতাহতের জন্য অনুমোদন প্রদানকারী ১০টি সংস্থাকে দায়ী করেছেন পরিবেশবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। তারা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও ভবন মালিককে ‘অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ডের’ আসামি করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ভবন বিপজ্জনকতায় আচ্ছন্ন নগরী: প্রেক্ষিতে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা উঠে আসে। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) ও বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলা)।
বাপার সহ-সভাপতি ইকবাল হাবিব বলেন, 'অবহেলাজনিত কারনে ঘটা অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের বিপরীতে ভবন নির্মাণ, বিভিন্ন সনদ ও ব্যবসায়ীক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য অনুমোদন প্রদানকারী ১০টি সংস্থা দায়ী। এদের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং ভবন মালিককে অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ডের আসামি হিসেবে গণ্য করে আইনের আওতায় আনা হোক। এটাই আমাদের মূল দাবি।'
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অবহেলা, অব্যবস্থাপনা ও প্রস্তুতিহীনতার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। রাজধানীতে গত পাঁচ বছরে অন্তত ৯টি বড় অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দুর্ঘটনার পর তদারকির দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থা পারস্পরিক দোষারোপের মাধ্যমে নিজেদের দায়িত্ব থেকে ‘দায়মুক্তি’ নেওয়ার চেষ্টা করছে।
বেইলি রোডের ঘটনায় ভবনে আটকাপড়া মানুষের আহাজারি, সেদিনের ভয়াবহতা ও বিভিন্ন অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরেন বক্তারা। নিয়ম না মেনে তৈরি হোটেল রেস্টুরেন্ট বয়কটের দাবিও তোলা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় তুলে ধরে ১০ দফা প্রস্তাবিত করণীয় তুলে ধরে তারা বলেন, ‘গার্মেন্টস খাতের মতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সদিচ্ছা ও সমন্বয় প্রয়োজন।’