চৈত্র সংক্রান্তি ও বৈশাখ উৎযাপন উপলক্ষ্যে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। শিল্পকলা একাডেমিতে আজ এ উৎসব উদ্বোধনের ঘোষণা দেবেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বলা হয়, আবহমান বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যকে ধারণ করে প্রতি বছর আসে চৈত্র সংক্রান্তি। বছরের শেষ দিনে পুরাতনকে বিদায় ও আগামী বছরকে বরণ করার জন্য তাইতো চৈত্র সংক্রান্তি ঘিরে রাজধানীসহ সারাদেশে থাকে নানা উৎসবকেন্দ্রিক আয়োজন।
বিশেষ করে, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বাংলা বছরের এই দিনটিকে পুণ্য দিন বলে মানে। এদিন স্নান, দান, ব্রত ও উপবাসের মধ্যদিয়ে চৈত্র সংক্রান্তি পালন করেন তারা।
এছাড়া বছর বিদায়ের উৎসব পালন করেন ব্যবসায়ীরা। নতুন আঙ্গিকে ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠান সাজানোর চেষ্টা করেন। পুরোনো হিসাব-নিকাশ শেষ করে নতুন খাতা খোলার প্রস্তুতি নেয়া হয়, যাকে বলা হয় 'হালখাতা'। নতুন বছরের প্রথম দিনে এই হালখাতা খোলা হয়, আর ক্রেতাদের আপ্যায়ন করা হয় মিষ্টান্ন দিয়ে।
কাল (সোমবার) পহেলা বৈশাখ উৎসবের মধ্যদিয়ে বাঙালি স্বাগত জানাবে নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩২। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হবে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারের শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারের অবসান এবং ঐক্যের ডাক দিচ্ছে চারুকলা অনুষদ।