২১ হাজার নিবন্ধিত সিএনজির ৭৫ শতাংশই চলে না মিটারে

পছন্দের গন্তব্যে যেতে অনাগ্রহী ৯২% চালক

রাজধানীতে চলা সিএনজি
বিশেষ প্রতিবেদন
দেশে এখন
0

রাজধানীতে নিবন্ধিত সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা ২১ হাজার। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশই মিটারে চলছে না, আর ৯২ শতাংশ চালক যাত্রীদের পছন্দের গন্তব্যে যেতে রাজি হন না। চালকদের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অজুহাত। তবে এ ব্যাপারে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

যাত্রীদের এতো এতো অভিযোগ সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ঘিরে। নগরজুড়ে এ বাহন নিয়ে সাধারণের অভিযোগের পাল্লা বেশ ভারি। ভোগান্তি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং হয়রানির এ বয়ান মোটেও নতুন কিছু না।

এই শহরে সকল নিয়মকানুনকে উপেক্ষা করে একরকম বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিনের পর দিন বাধাহীনভাবে চলছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা।

রোগীর স্বজন সেজে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে আমরা যেতে চাইলাম মিরপুর। একটি সিএনজি অটোরিকশা খুঁজতে হবে আমাদের। কিন্তু ভাড়া কত?

এ গন্তব্য থেকে মিরপুরের দূরত্ব মাত্র ১২ দশমিক ৬ কিলোমিটার পথ। যানজট বিবেচনা, অপেক্ষমাণ মুহূর্তসহ সব মিলিয়ে ভাড়া হবার কথা ২৪০-২৪৭ টাকা। কিন্তু এই টাকায় আমরা অনেক চেষ্টার পরেও কোনো চালককে গন্তব্যে নিয়ে যেতে রাজি করাতে পারলাম না।

সব শুনে মনে হতে পারে এ যেন মগের মুল্লুক। নিয়মের বালাই নেই এই খাতে। বিআরটিএর ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা যায়, ২০২৫ এর মার্চ মাস পর্যন্ত বৈধ নিবন্ধিত এ যানের সংখ্যা ২০ হাজার ৯২১ টি। তারপরও নানা ফন্দিফিকিরে আটকে থাকে যাত্রীসেবা।

এ বিষয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব জানান, সিএনজি অটোরিকশার বিশৃঙ্খলা রুখতে অভিযান চলমান রাখা উচিত।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘মিটারে না গেলে এবং যাত্রীদের পছন্দের গন্তব্যে না গেলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। এ জরিমানা যখন আরোপ করতে গেলেন তখন মালিকরা আন্দোলন করে সারাদেশ অচল করে দিলো। এ সেক্টরের প্রভূত উন্নয়নের জন্য গবেষণা, চিন্তা করা এ ধরনের লোকের বড় অভাব রয়েছে।’

এ ব্যাপারে ডিএমপির মুখপাত্র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এখন টিভিকে বলেন, ‘যে আইন রয়েছে, সেটার বিপরীতে বিভিন্ন রকম মামলা হচ্ছে। বেশ কিছু সিএনজির বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমাদের কার্যক্রম প্রতিনিয়ত চলছে।’

আর এ বিষয়ে পদক্ষেপ কী— তা জানতে বিআরটিএর চেয়ারম্যানের দপ্তরে ২ কার্যদিবসে যোগাযোগ করার পরও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সিএনজি চালকরা ইচ্ছে করে মিটার বন্ধ করে রাখেন। দেশে ২০০২ সালে পরিবেশ দূষণের কথা বলে টু-স্ট্রোক বেবিট্যাক্সিকে তুলে দিয়ে সিএনজি চালু করে তৎকালীন সরকার।

এএইচ