চট্টগ্রামের শিল্প এলাকা কোরিয়ান ইপেজেডের মালিকানাধীন পাহাড়ের ঠিক পাশের রাস্তা দিয়েই স্থানীয়দের চলাচল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত প্রায় এক মাস ধরে ইপিজেডের এই এলাকায় নির্বিচারে পাহাড় কাটছিল কর্তৃপক্ষ। যেখানে ছিল না কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী বা সতর্কতা নোটিশ। এ অবস্থায় রোহান-মিসবাহসহ কয়েকজন শিশু কোরিয়ান ইপিজেড এলাকায় ফুটবল খেলতে যায়। এসময় পাহাড় ধসে চাপা পরে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় রোহন ও মিসবাহর। গুরুতর আহত হয় সিয়াম ও সিফাত নামে আরও দুই শিশু।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘এখান থেকে দুইজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা দূর থেকেই বুঝে গেছি যে ওরা দুইজন মারা গেছে। আর অন্য দুইজনকে আমরা বের করে তাড়াতাড়ি গাড়ি করে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
অন্য একজন বলেন, ‘আজকে স্কুল বন্ধ, প্রাইভেট বন্ধ। ছেলেরা খেলাধুলা করতে আসছে। গতবছর এই পাহাড়ের মাটি কাটছে। উপরে আর নিচে আকাশপাতাল বেশকম।’
তবে কর্তৃপক্ষ বলছে অনুমতি নিয়ে পাহাড় কাটা হচ্ছিলো। মূলত গর্তে ঢুকে পাখি ধরতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
উপজেলা প্রশাসন বলছে, কোরিয়ান ইপিজেডের এই জায়গায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি রয়েছে। তবে ঘটনা তদন্ত করে কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলতি বছর এটি চট্টগ্রামে প্রথম পাহাড় ধসে নিহতের ঘটনা। তবে চট্টগ্রামে প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এতে আতঙ্কিত স্থানীয়রা।