বিক্ষোভে স্থবির নগর ভবন, ‘কার্যক্রম ব্লকেডে’ সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

নগর ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলতে দেখা গেছে
দেশে এখন
0

মোহাম্মদ হেলাল মিয়া। সস্ত্রীক এসেছেন জন্ম নিবন্ধন তৈরি করতে। তবে নগর ভবনের কার্যক্রম বিক্ষোভের কারণে বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েন তারা। শুধু হেলাল নয়, এরকম অনেকেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এসেছেন নাগরিক সেবা নিতে। কেউ এসেছেন জন্ম নিবন্ধন নিতে, কেউ-বা ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করতে, আবার অনেকেই এসেছেন দোকানের নামজারির অর্থ জমা দিতে। কিন্তু গতকাল (শনিবার) বিক্ষোভকারীরা ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়ায় সব কার্যক্রম বন্ধে দুর্ভোগে নগরবাসী।

এদিকে আজ (রোববার, ১৮ মে) নগর ভবন ঘুরে দেখা যায়, পুরো ভবনের সবগুলো ফটকেই তালা ঝুলছে। এ ভবনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়ার অফিস থাকলেও সেই অফিসের গেটও ছিল তালাবদ্ধ। পঞ্চম দিনের মত ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে না বসানোর প্রতিবাদে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে আজও বিক্ষোভ করে তার সমর্থক ও অনুসারীরা। এসময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়ার পদত্যাগ দাবি করেন তারা।

আরও পড়ুন:

ইশরাক হোসেনকে মেয়র শপথ না করানো পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানায় বিক্ষোভকারীরা। এ ছাড়াও নগর ভবনের সব সেবা কার্যক্রম ‘ব্লকেড’ ঘোষণা করা হয়।

সকালে এখন টেলিভিশনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় ডিএসসিসি প্রশাসক শাজাহান মিয়ার। তিনি জানান, আইনি প্রক্রিয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেভাবেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কাজ করবে। আইনি প্রক্রিয়া হওয়ার কারণে এখানে প্রশাসকের করণীয় কিছুই নেই বলেও জানান তিনি।

এর আগে, গত ২৭ এপ্রিল আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

এনএইচ