শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের হাতে সামান্য ভুল নিয়েও বই তুলে দিতে আমার মন সায় দিচ্ছে না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যতটা সম্ভব নির্ভুল বই দিতে। এজন্য আমরা কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘দেশে বেকার সমস্যা সমাধানে কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। আমরা চামড়া শিল্প, ওষুধ শিল্প, সিরামিক শিল্পসহ নানা খাতের শিল্প বিশেষজ্ঞ ও প্রতিনিধি নিয়েও আলাপ আলোচনা করেছি। আমরা মনে করি কারিগরি শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ সীমিত। এ সমস্যা সমাধানে আমরা যথাযথভাবে চেষ্টা করব। আর এ বছরের জুলাই থেকেই কলেজ পর্যায়ে অনলাইনে শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষার মান উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নতুন কারিকুলামের যাত্রাটা শুরু করে যেতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। কারিকুলাম নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়নি, তবে এটি প্রয়োজন। ঈদের পরই আলোচনা হবে। যাতে করে প্রাথমিকের সঙ্গে মাধ্যমিকের যোগসূত্র থাকে।’
এসময় শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, ‘২০২৭ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেণিকে নতুন কারিকুলামের আওতায় আনতে পারি; সেই লক্ষ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। যা হবে ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত।’
এদিকে, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পেনশনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান শিক্ষা সচিব।