এ ছয় কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আন্দোলনরত ঐক্য পরিষদের সভাপতি, সহ-সভাপতি। তাদের বিরুদ্ধে আজই দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এনবিআরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে করদাতাদের কর ফাঁকির সুযোগ করে দিচ্ছেন বলে তথ্য রয়েছে। কিছু কর্মকর্তা কর নির্ধারণে অনিয়মের মাধ্যমে লাভবান হচ্ছেন। আবার করদাতাদের অতিরিক্ত কর ফেরতের ক্ষেত্রেও ঘুষ না দিলে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।
আকতারুল ইসলাম বলেন, বছরের পর বছর ধরে কিছু কর্মকর্তা ঘুষের বিনিময়ে কর ফাঁকি এবং ফেরতের ক্ষেত্রে জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত আছেন। এতে করে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন
তিনি জানান, বিগত ২০-২৫ বছর ধরে বিভিন্ন স্টেশনে কর্মরত অবস্থায় অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

৬ কর্মকর্তা হলেন: এনবিআরের আয়কর নীতি বিভাগের সদস্য এ কে এম বদিউল আলম; ঢাকা কর অঞ্চল-৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা; বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দীন খান; ঢাকা কর অঞ্চল-১৬ এর উপকর কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা; মূল্য সংযোজন কর বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হাছান তারেক রিকাবদার; কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু।
এনবিআর সূত্র বলছে, অনুসন্ধানের মুখে পড়া অন্তত ৫ কর্মকর্তা সরাসরি এনবিআরের আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি। এই ‘ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে এনবিআরে আন্দোলন চলছে। মির্জা আশিক রানা ও শাহরীন সুস্মিতা ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি।
দুদক জানিয়েছে, যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত এগিয়ে নেয়া হবে।