ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন এবং কয়েকজন আন্দোলনকারীকে আটক করতেও দেখা যায়। পরে পুলিশ ধীরে ধীরে আন্দোলনকারীদের মৎস্যভবনের দিকে ঠেলে সরিয়ে নেয়।
এর আগে, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শাহবাগ মোড় থেকে একটি মিছিল নিয়ে কাকরাইলমুখী হন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। কাকরাইল মসজিদ মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাদের পথ আটকে দেয় এবং সেখানেই তারা অবস্থান নিতে শুরু করেন।
ঘটনার আগে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম আন্দোলনকারীদের যমুনায় প্রতিনিধি পাঠানোর পরামর্শ দেন এবং কাকরাইল মোড় থেকে সরে যেতে ১০ মিনিটের আল্টিমেটাম দেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তা না মানায় পুলিশ বলপ্রয়োগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফেরত, বিজিবির নাম আবার বিডিআর করাসহ কয়েক দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন।
রমনা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি। এরপরও যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা করায় তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।’