‘আমরা নিজেদেরই জবাব দিতে পারছি না, নিহতদের পরিবারকে কী জবাব দেব’

মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার ভিডিও বার্তাি
দেশে এখন
2

বিমান দুর্ঘটনায় সারাদেশের মানুষ আজ হতবাক। এটি কারও ধারণার মধ্যে ছিল না। আমরা নিজেদেরই জবাব দিতে পারছি না। নিহতদের পরিবারকে কী জবাব দেব— এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ (সোমবার, ২১ জুলাই) এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমার মতো সারা দেশের লোক আজ হতবাক। এরকম একটা কাণ্ড ঘটতে পারে আমরা কেউ কল্পনা করিনি। কারও ধারণার মধ্যে ছিল না। কিন্তু এ অবিশ্বাস্য জিনিস আমাদেরকে হঠাৎ করে গ্রহণ করতে হলো। মাইলস্টোন কলেজে দুর্ঘটনায় হতাহত শিশুদের বাবা-মাকে কী জবাব দেবো? আমরা নিজেদেরকেই তো জবাব দিতে পারছি না। সারা জাতি হতভম্ব, বাকরুদ্ধ। শোকাহত বললে কম বলা হবে। এ দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। এখনও লাশ আসছে হাসপাতালে। হাসপাতালে মারা যাচ্ছে।’

শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে। আমরা অবশ্যই তদন্ত করব। আমরা সবাই আপনাদের পাশে আছি।’ গোটা জাতির কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।

এদিকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৭১ জন। আজ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো সবশেষ আপডেট বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আরও পড়ুন:

জানা যায়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই মডেলের যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে আজ (সোমবার, ২১ জুলাই) দুপুর ১টা ৬ মিনিটে কুর্মিটোলার এ কে খন্দকার বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। তবে উড্ডয়নের কিছু সময় পর বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুর্ঘটনার সময় বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে জনবিরল অঞ্চলে বিমানটি অবতরণের সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হয়।

দুর্ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। আহতদের মধ্যে অনেককে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ও অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে দ্রুত সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), কুর্মিটোলা হাসপাতালসহ আশপাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এএইচ