জুলাইয়ের চেতনা ধারণ করে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার

দ্বিতীয় দফা সংলাপে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখছেন প্রধান উপদেষ্টা
দেশে এখন
0

জুলাইয়ের চেতনা ধারণ করে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ (মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই) ‘জুলাই শহিদ দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘জুলাই শহিদরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত নতুন রাষ্ট্র ব্যবস্থার। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এ সুযোগকে কাজে লাগাতে সবার ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করে নতুন বাংলাদেশের পথে দৃপ্ত পদভারে একযোগে সবাই এগিয়ে যাবো—আজকের দিনে এ হোক আমাদের অঙ্গীকার।’

বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রথমবারের মতো দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘‘জুলাই শহিদ দিবস’’। এ দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে জাতিকে মুক্ত করার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘২০২৪ সালের ১৬ জুলাই ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা বিলোপের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের গুলিতে ও সন্ত্রাসীদের হামলায় এ দিন চট্টগ্রাম, রংপুর ও ঢাকায় অন্তত ছয় জন শহিদ হন। ক্ষণজন্মা অকুতোভয় এ বীরদের আত্মদান আন্দোলনে তীব্র গতির সঞ্চার করে। প্রতিবাদে দেশজুড়ে রাজপথে নেমে আসে লাখো শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতা। আন্দোলনের তীব্রতার সঙ্গে বাড়তে থাকে শহিদদের সংখ্যা। বৈষম্য ও কোটাবিরোধী আন্দোলন অচিরেই রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। সর্বস্তরের মানুষের দুর্বার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় স্বৈরাচার। হাজারো শহিদের রক্তের বিনিময়ে হয় মুক্তির নতুন সূর্যোদয়।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের জুলাই শহিদরা চব্বিশের স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে এক মহাকাব্যিক বীরত্ব গাথা রচনা করে গেছেন। শহিদ ও আহত জুলাই যোদ্ধাদের অবদানকে সমুন্নত রাখতে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরেই তাদের ও তাদের পরিবারের কল্যাণে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মৃতি ধরে রাখতে এবং শহিদ পরিবার ও আহতদের কল্যাণে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ এবং ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন করা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই শহিদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত ও গেজেট প্রকাশের কার্যক্রম চলমান আছে। প্রতিটি শহিদ পরিবারকে এককালীন ৩০ লাখ টাকা ও মাসিক ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। আহত জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণেও অনুরূপ নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আত্মদানকারী সব শহিদদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি।’

এএইচ