দশম শ্রেণির ছাত্র আলিফ আহমেদ সিয়ামের স্বপ্ন ছিল আকাশ ছোঁয়ার, হতে চেয়েছিল পাইলট। কিন্তু একটি বুলেট চিরদিনের মতো থামিয়ে দেয় সেই স্বপ্ন। সন্তান হারানোর এক বছর পরও আর্তনাদ থামেনি তানিয়া আক্তারের।
আলিফ শহিদ হয়েছেন, কিন্তু তার ব্যবহৃত জিনিসগুলো পরম যত্নে রেখেছে পরিবার। ৩৬ জুলাই যে পোশাক পরে বেরিয়েছিলেন আলিফ, সেগুলো জড়িয়ে ধরে এখনও বিলাপ করেন মা। বছর পার হলেও জুলাই আন্দোলনের আকাঙক্ষা পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ আলিফের মায়ের।
আলিফের মা তানিয়া আক্তার বলেন, ‘সে শুধু আমার সন্তানই ছিল না, আমার বন্ধুও ছিল। আমার সবকিছুই ওর জন্য।’
নির্বাচনের আগে জুলাইয়ের চেতনা বাস্তবায়ন, বিপ্লবী যোদ্ধার স্বীকৃতি ও হামলায় জড়িত সবার বিচার নিশ্চিত করার দাবি শহিদ স্বজনদের।
আলিফের মা জানান, তার চাওয়া ছিল শুধু তার সন্তানের হত্যাকারীদের শাস্তি, দোষীদের বিচার। কিন্তু তার কতটুকু পেয়েছেন, সেটা নিয়েই সন্দিহান তিনি।
বড় ভাইকে হারিয়ে মায়ের মতো পাগলপ্রায় ছোট বোন ইসরাত জাহান লামহাও। নিহত ভাইয়ের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে শহিদ আলিফের নামে একটি স্মৃতিস্তম্ভ কিংবা যেকোনো স্থাপনার নামকরণ করার দাবি তার।
শহিদ আলিফের বোন ইসরাত জাহান লামহা বলেন, ‘জীবনে প্রথম বার দু’টি ঈদ কাটালাম আমার ভাইকে ছাড়া। এটা আমি কখনও কল্পনাও করিনি। আমার ভাইয়ের সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত এখন কেবলই স্মৃতি।’
মৃত্যুর আগে শত মায়ের বুক খালি করার মূল কারিগর ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের বিচার দেখে যেতে চান আলিফের বাবা-মা।