ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রোডম্যাপ নিয়ে জনমনে কৌতুহল ছিল বেশ। গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সেই কৌতুহলে আরেকটু রঙ চড়ান, জানান এ সপ্তাহেই পাওয়া যাবে নির্বাচনী রোডম্যাপ।
আজ (সোমবার, ১৮ আগস্ট) দুপুরে সে বিষয়ের দ্বিরুক্তি শোনা গেলো ইসি সচিবের কাছে। চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ করতে কমিশনে খসড়া জমা হয়েছে বলে খোলাসা করেন তিনি।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘একটা কর্মপরিকল্পনার ব্যাপারে জানানো হয়েছিল। আমি বলেছিলাম যে, আমরা এ সপ্তাহের মধ্যে এটা করবো। এটা কো-অর্ডিনেট করা হচ্ছে, কর্মপরিকল্পনাটা তো আন্তঃঅনুবিভাগ আমাদের সম্পর্কিত এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে খসড়া করা হয়েছে। সেটা এখন কমিশনে দিয়ে আমরা অ্যাপ্রুভ করবো। আমাদের বিশ্বাস যে আমরা এ সপ্তাহের মধ্যে এটা (নির্বাচনী রোডম্যাপ) আপনাদের দিতে পারবো।’
নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে কমিশনের তোড়জোড়ের কমতি নেই। সেই দাবির প্রমাণস্বরূপ ইসি সচিব জানান, মাঠপর্যায়ের প্রশাসন সাজানো, কে হবে মুখপাত্র- এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে চলছে তুমুল ব্যস্ততা। নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিক যাচাইয়ে উত্তীর্ণ ২২টা নতুন দলের তথ্য যাচাই মাঠপর্যায়ে চলমান বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
আখতার আহমেদ বলেন, ‘যে ২২টি রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে আমাদের মনে হয়েছে যে, আমাদের প্রাথমিকভাবে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো দরকার, আমরা পাঠিয়েছি। যাদেরটা বিবেচনাযোগ্য হয়নি, তাদের আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছি।’
ভোটকেন্দ্র বাড়ানো এবং তরুণদের জন্য আলাদা ভোটকেন্দ্র নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণে আগামী রোববার (২৪ আগস্ট) থেকে চার দিন প্রায় এক হাজার ৮০০ আপত্তির শুনানী করবে কমিশন।
ইসি সচিব বলেন, ‘৮২টি কনস্টিটিউয়েন্সি সম্পর্কিত যে আপত্তি আসছে সেটার শুনানি আমরা ২৪ আগস্ট থেকে শুরু করবো চার দিন একটানা। এরপর এটাকে ফাইনালাইজ করবো।’
শেষ বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদল। সাক্ষাৎ শেষে সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক স্টিফেন সিমা বলেন, ‘ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে কারিগরি সহায়তা দিতে চায় আইআরআই।’
এসময় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সিইসির সঙ্গে আলাপ হয়েছে বলেও জানান তিনি।