পাথর লুটের ঘটনায় যখন চারিদিকে তুলকালাম কাণ্ড তখন নতুন জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনারের সাথে সাদা পাথর পরিদর্শনে আসেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেছুর রহমান ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
এসময় পাথর লুটের ঘটনায় জড়িত যেই হোক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘এটার সঙ্গে জড়িত সে যেই হোক, খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। সাদাপাথর, জাফলং, বিছানাকান্দি, রাতারগুল যেকয়টা আছে, একয়টা ট্যুরিজম সেন্টারের সঙ্গে লিংক করে যেখানে রাস্তা ভালো আছে, যেখানে রাস্তা ভালো নাই, রোডস অ্যান্ড হাইওয়েকে ইনক্লুড করে এ রাস্তাগুলোকে ভালো করা হবে। যেন এখানে আসলেই সবগুলো জায়গায় ট্যুরিস্ট যেতে পারে, এটা একটা আমাদের টার্গেট।
তবে লুট হওয়া পাথর প্রতিস্থাপনের ফলে পুরোপুরি আগের অবস্থায় সাদা পাথর ফিরে না আসলেও কিছুটা হলেও যেন ক্ষতি পুষানো যায় সেজন্য পাথর পুনরুদ্ধার এবং প্রতিস্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সবাই এখন অ্যাক্টিভ, একসঙ্গে হয়ে আসছে। এটা যদি আগে হতো তাহলে এই জিনিসটা হতো না আসলে।’
এছাড়াও সাদাপাথর এলাকাকে দ্রুত সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনাসহ বেশকিছু পরিকল্পনার কথা জানান সিলেটের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সারওয়ার আলম।
সিলেটের জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম বলেন, ‘যে পাথরগুলো লুট হয়ে গেছে, সেগুলো কোথায় আছে এখন সেগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। একইসঙ্গে এটার সঙ্গে কারা কারা জড়িত ছিল তাদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। অল্প সময়ের মধ্যেই এটাকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসবো।’
এদিকে লুট হওয়া পাথর ফিরিয়ে আনাসহ প্রশাসনিক নজরদারি বৃদ্ধি পাওয়ার ব্যাপারটিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, শতভাগ না হলেও সাদা পাথরের সৌন্দর্য রক্ষায় এ ধরনের কঠোর পদক্ষেপ যেন অব্যাহত থাকে।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘যতটুকু মানুষের দ্বারা করা সম্ভব হয়, ওতটুকু আশা করি যেন কাজটা কিছুটা আগের মতো সাদৃশ্য বা দেখা যায়।’
এর আগে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে পাথর লুটপাটের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনে আসেন তারা।