আজ (শনিবার, ২৩ আগস্ট) দুপুর ১টায় শেরপুর জেলা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে চলমান খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘যেকোনো দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলা, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখাসহ কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্য পায় সেজন্য সরকার প্রতি বছর খাদ্য মজুত রাখে। গত ১৭ আগস্ট থেকে সারাদেশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ শুরু হয়েছে, যা চলবে ছয়মাসব্যাপী। সারাদেশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫৫ লাখ কার্ডধারী উপকারভোগী রয়েছেন। শেরপুরে কার্ডধারীর সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন হলে জেলা প্রশাসক মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন পাঠালে আমরা তা বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের পর ডিলার পরিবর্তনের জন্য সার্কুলার দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় মামলা জটিলতায় স্থগিতাদেশের কারণে ডিলার পরিবর্তন করা যায়নি। আশা করছি, মামলা শেষ হওয়ার পর দ্রুতই সেগুলোও পরিবর্তন করা হবে।’
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘সরকার চায় প্রান্তিক জনসাধারণ যাতে সঠিকভাবে সরকারি সুযোগ-সুবিধাগুলো সঠিকভাবে পায়। এজন্য আপনাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কোনো ভুলত্রুটি বা অসঙ্গতি পেলে সেগুলো তুলে ধরবেন।’
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আশরাফুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোসা. হাফিজা জেসমিন, শেরপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. নাজমুল হক ভূঁইয়াসহ শেরপুরের ৫ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও খাদ্য অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।