তিনি জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩০ নভেম্বর। এ বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তারাই ভোটার হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
এদিকে ইসি জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু হবে। প্রথম পর্যায়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সংলাপ হবে, পরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে।
এদিকে আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে ইসির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে আজ ছিল দাবি ও আপত্তির শেষ দিনের শুনানি। শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে পাবনা-১ আসন পুনর্গঠন নিয়ে দাবি তুলেছেন জামায়াত সমর্থিত কয়েকজন, যারা শুধু সাঁথিয়া নিয়ে আসন গঠনের পক্ষে মত দেন। জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে নাজিবুর রহমান মোমেন বেড়া ও সুজানগর মিলে আলাদা আসনের প্রস্তাব দেন। তবে ইসির প্রকাশিত খসড়া অনুযায়ী সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার একটি অংশ নিয়ে গঠিত আসনের প্রতি স্থানীয় বিএনপি নেতারা সমর্থন জানান।
আরও পড়ুন:
অন্যদিকে, সিরাজগঞ্জ-২ ও ৬ আসনের কয়েকজন বাসিন্দা ২০০১ সালের মতো আসন পুনর্বহালের দাবি জানান। একইভাবে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বাসিন্দারা ২০১৪ সালের মতো চিলমারী উপজেলার রানিগঞ্জ, থানাহাট, রমনা ও চিলমারী ইউনিয়নকে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সঙ্গে যুক্ত করার আবেদন করেন।
সব দাবি-আপত্তি যাচাই-বাছাই করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে। উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই ইসি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সংসদীয় আসনের খসড়া সীমানা প্রকাশ করে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ আগস্ট নির্বাচন কমিশন এক বৈঠকে সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) নিয়ে আলোচনা করে। রোডম্যাপে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচনী আইন সংস্কার, দল ও অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, সীমানা নির্ধারণ, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, নির্বাচনী সরঞ্জাম সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ, প্রিন্টিং, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সভা এবং নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকসহ তফসিলের আগে ও পরে যেসব প্রস্তুতি নিতে হবে, তার বিস্তারিত বিবরণ থাকবে।