সীমান্তে আগ্রহীদেরই ফেরত পাঠানো হচ্ছে, মারণাস্ত্র ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত: বিএসএফ

বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলন
দেশে এখন
0

পুশ ইন নয়, কেবল আগ্রহী বাংলাদেশিদেরই সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিএসএফ। বিজিবি-বিএসএফ ডিজি লেভেলের ৫৬তম বর্ডার সম্মেলন শেষে এ দাবি করা হয়। এসময় বিএসএফ এর ডিজি বলেন, ‘বর্ডারে মারণাস্ত্র ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসএফ। ভারতের মাটিতে বিএসএফ কর্মীদের নিরাপত্তা বিঘ্ন হওয়ার কারণেই বিএসএফ গুলি চালাতে বাধ্য হয় বলেও দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে, সীমান্তে গুলি না করে আইন অনুযায়ী বিজিবির হাতে তুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিজিবির ডিজি।

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের পরই সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে ভারত সরকারের সঙ্গে। সীমান্ত হত্যা থেকে শুরু করে বাংলাদেশে পুশ ইনের মতো ঘটনা ঘটছে হরহামেশাই।

এমন পরিস্থিতিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি ও বিএসএফ’র ৫৬তম বর্ডার গার্ড ডিজি পর্যায়ের সম্মেলন। সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা, বাংলাদেশে পুশ ইন, চোরাচালান, মাদকসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় দুই দেশের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে।

আরও পড়ুন:

৪ দিনের ডিজি লেভেলের সম্মেলন শেষ যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে দুই দেশ। সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসময় উঠে আসে সীমান্ত হত্যা বিষয়। উত্তরে বিএসএফ এর ডিজি শ্রী দালজিং সিং চৌধুরী বলেন, ‘নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে গুলি চালাতে বাধ্য হয় বিএসএফ।’

এসময় বিজিবির ডিজি প্রশ্ন তোলেন, শিশুরা কীভাবে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে বিএসএফ’র। গুলি না করে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের আহ্বান বিজিবি প্রধান।

বাংলাদেশে পুশ ইনের বিষয়ে অস্বীকার করে বিএসএফ ডিজি বলেন, ‘যারা ভারতে গিয়েছে, বিভিন্নভাবে তারা দেশে ফেরত আসছে।’ সীমান্ত আইন মেনে বিএসএফ তাদের বর্ডারের নিরাপত্তা দিচ্ছে বলেও দাবি করেন বিএসএফের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

এসএইচ