২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে এমআরটি-১ প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত শুধু শেষ হয়েছে সিপি-১ প্যাকেজের কাজ। নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জে ৮৮ দশমিক ৭১ একর জায়গার ভূমির উন্নয়ন চলতি মাসের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হলেও ডিপোর পূর্ত কাজ ও ভবন নির্মাণ এখনও শুরু হয়নি।
তবে পুরো প্রকল্পের কাজ আটকে আছে ব্যয় কাটছাঁটের টেবিলে। এমআরটি লাইন-১ এর প্রাক্কলন ব্যয়ের থেকে ঠিকাদারদের প্রস্তাবিত ব্যয় প্রায় দ্বিগুনে গিয়ে ঠেকেছে। বর্তমান ডিপিপি থেকে প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় বেড়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি। ডিএমটিসিএলের এমডি অবশ্য বলছেন ব্যয় বাড়বেই। তবে কতটুকু বেশি আর কতটুকু অযৌক্তিক, সেটি নির্ণয় করা হচ্ছে।
এমআরটি-১ শেষ হওয়ার সময়কাল ২০২৬ সাল। ডিপিপি সংশোধনের পর সময় দ্বিগুনের বেশি বাড়লেও এমডির বিশ্বাস বর্ধিত সময়েই শেষ হবে প্রকল্পের কাজ।
আরও পড়ুন:
তবে মাঠের চিত্র প্রতিবন্ধকতায় ঠাসা। এখন পর্যন্ত এয়ারপোর্ট থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত পাতাল ৫টি স্টেশনের ইউটিলিটি স্থানান্তরের কাজ কোনটির শেষ কিংবা চলমান থাকালেও থমকে আছে উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা ও আফতাবনগরের পরিষেবা স্থানান্তরের কাজ। পূর্ব অভিজ্ঞতায় জনদুর্ভোগের কথা ভেবে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে ডিএমপি, যাতে ব্যয় হবে বাড়তি টাকা।
এ প্রকল্পে সবচেয়ে জটিল আর ঝুকিপূর্ণ প্যাকেজ বলা হচ্ছে সিপি-৩ কে। কমলাপুর থেকে রামপুরা পর্যন্ত ৪ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার লাইনে স্টেশন থাকবে ৪টি। মাটির ওপরের অংশে নানা স্থাপনার সঙ্গে আছে লাইনের তিক্ষ্ণ বাক। নিচের টানেলের শেষ অংশ যাবে মাটির ১১০ ফুট নিচ দিয়ে। স্টেশনগুলোর দুই পাশে থাকবে ১৬০ ফুটের বেশি ডায়াফ্রাম ওয়াল, যা মাটির ধস রোধ করবে।
এরই মধ্যে ঝুঁকি আর অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের কথা ভেবে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকা জাপানী ৫ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্র তুললেও জমা দেয়নি। পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই দরপত্র আহ্ববানের অনুমতি চাওয়া হয়েছে জাইকার থেকে। যদিও বড় কোনো দুর্ঘটনা হলে সেই ক্ষতিপূরণ রাখা হয়েছে অর্থ পরিকল্পনায়।