প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘একইদিন বিকেলে আরেকটি টেলিভিশন ভাষণে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাটা আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে, কোনো একটি চাপে পড়ে ওইদিনই তাকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। দুটিই মেজর ইস্যু, একটি জুলাই ডিক্লারেশন-যেটি খুব ইম্পরট্যান্ট। সেদিনেই আরেকটি জাতীয় ভাষণ রাখার কী প্রয়োজন ছিল। এখানে কোনো একটি চাপ আছে বলে আমরা মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘একটি দল বাদে সবাই চায় জুলাই সনদ। একটি দল বাধা দিচ্ছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মতো তাদের সহযোগী জাতীয় পার্টিকেও নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জানানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
ড. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আগে একটা গ্রুপ চাঁদাবাজি করত এখন অন্য একটা গ্রুপ করে। যে সরকার চাঁদাবাজ ধরতে পারে না তারা কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন নিবে তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আমরা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে রাজি কিন্তু সে পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে অনেকে ষড়যন্ত্র করছে। তা সরকারকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। অনেক ফ্যাসিস্ট এখনো সরকারের নানা জায়গায় আছে সেই জায়গা নিরপেক্ষ ব্যক্তি বসাতে বলেছি আমরা।’
এ সময় নুরুল হক নুরের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
বৈঠকে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাগ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেন। অন্যরা হলেন- দলের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান এবং হামিদুর রহমান আযাদ। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।