চলতি বছরের জুলাই এবং আগস্টে ডেঙ্গু বেড়েছে সমানতালে। আর তখনই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছিলেন, এবার সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে বাড়তে পারে ডেঙ্গু আক্রান্ত হার। সেই প্রতিফলনই যেন আগস্টের শেষ দিনে। চলতি বছর একদিনে সর্বোচ্চ ৫৬৮ জন শনাক্তের রেকর্ড হয় গত ৩১ আগস্টে। এদিন মৃত্যু হয় চারজনের।
বরাবরই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আরও জোরালো ভূমিকা নিতে হবে সিটি করপোরেশনকে, নাহলে মারাত্মক হতে পারে পরিস্থিতি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সব দপ্তরকে একসঙ্গে কাজ করার পরামর্শ তাদের।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের কোনো হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র চিহ্নিত করা নেই। সব বড় বড় হাসাপাতালে , গ্রামাঞ্চলে আছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, জেলা হাসপাতাল আর অধিকাংশ জায়গায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আছে। রোগীরা যদি সেখানে চিকিৎসা করতে আস্থা পায় তাহলে তো ঢাকা, চট্টগ্রাম বড় বড় হাসপাতালে রোগীর এ ভিড়টা হয় না।’
আরও পড়ুন:
তবে বারবার বিশেষজ্ঞদের এমন সতর্কবার্তার পরেও টনক নড়েনি সেবা সংস্থাগুলোর। দিন দিন ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ হওয়াই তা প্রমাণ করে। এমন পরিস্থিতিতে এ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের মত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়ে তোলার।
ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতা অভিযান করতে হবে। শুধু পানি জমার পাত্র পরিষ্কার না। সার্বিকভাবে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন করতে হবে। এ হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক ছাত্র-তরুণদের যদি তিন থেকে পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় বা একদিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হলেও হবে। যারা কীটতত্ত্ববিদ, জনস্বাস্থ্যবিদ এবং পরিবেশবিদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিলে তারা চমৎকার কাজ করতে পারবে।’
চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৪৭৬ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১২২ জনের।