
সতর্ক না হলে আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে ডেঙ্গু!
গত আগস্টে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৪৯৬ জন। এসময়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। এমন পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই সতর্ক না হলে ভবিষ্যতে ডেঙ্গু আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

ডেঙ্গু জটিল রোগীদের জন্য নতুন ঝুঁকি তৈরি করছে: জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা
রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে গত (শনিবার, ২৩ আগস্ট) ডেঙ্গুতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গেল (বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট) ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে সারাদেশে। যা চলতি বছরে এক দিনে সর্বোচ্চ। এমন পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য নতুন করে ঝুঁকি বাড়াবে ডেঙ্গু।

ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে রাজধানীর বাইরে; জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা
ডেঙ্গু এখন আর রাজধানীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে সমানতালে। সামনের দিনগুলোতে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে স্বাস্থ্যসেবাকে বিকেন্দ্রীকরণ করার পরামর্শ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

করোনা ফেরায় প্রস্তুত স্বাস্থ্য বিভাগ; মজুত টিকার মেয়াদ শেষ সেপ্টেম্বরে
দেশে আবারও করোনা সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রস্তুতি নিচ্ছে সম্ভাব্য ঝুঁকি কমানোর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এখন তাদের হাতে ৩১ লাখ টিকা মজুত আছে। এর মধ্যে ১৭ লাখ টিকার মেয়াদ শেষ হবে আগামী আগস্টে, বাকি ১৪ লাখেরও মেয়াদ শেষ হবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। এরইমধ্যে গর্ভবতী, বয়স্ক, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ও এক বছরের আগে টিকা নেয়া মানুষকে টিকা গ্রহণে আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

স্বাস্থ্যসেবা ঢেলে সাজাতে হেলথ সার্ভিস কমিশনের পাশাপাশি পরিবর্তন দরকার প্রশাসনে
আলোচিত স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইনের খসড়া প্রস্তাবনায় বহু ফাঁক-ফোকর রয়েছে। যেখানে রোগীদের সুরক্ষার দিকটি স্থান না পেলেও চিকিৎসকদের সুরক্ষাই গুরুত্ব পেয়েছে বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যসেবা ঢেলে সাজাতে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস কমিশন গঠনের পাশাপাশি পরিবর্তন আনতে হবে স্বাস্থ্য প্রশাসনে।

আগস্টে দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে ডেঙ্গুর সংক্রমণ
দেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ জুলাই মাসের তুলনায় আগস্টে দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে এবার মৃত্যুহার এখন পর্যন্ত গত বছরের চেয়ে বেশ খানিকটা বেশি। সংক্রমণ ও মৃত্যু কম হলেও আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি, বিশেষ করে বর্ষা পরবর্তী প্রবল বৃষ্টি ডেঙ্গুর জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরির শঙ্কায় রয়েছে।

হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি রোগীর চাপ বহির্বিভাগে, অথচ সেখানেই যত সংকট
দেশের জনসংখ্যার বড় একটি অংশই চিকিৎসা নেন হাসপাতালের বহির্বিভাগে। তবে ডাক্তারদের দেরির কারণে ভোগান্তি বাড়ে রোগীর। আবার লোকবল কম থাকায় অনেক সময়ই প্রয়োজনের তুলনায় কম সময় পান রোগীরা। রোগীর চাপে ডাক্তারদের আন্তরিকতার যায় কমে। অন্যদিকে দেশে রেফারেল পদ্ধতি না থাকায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী ভুল করে অন্য রোগের বিশেষজ্ঞের কাছে চলে যান। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, অনুপস্থিতি ও জনবল ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন তারা।

প্রায় দুই বছরেও চালু হয়নি সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পূর্ণাঙ্গ সেবা
প্রযুক্তিনির্ভর অত্যাধুনিক চিকিৎসা সেবা দিতে বিপুল অর্থ ব্যয় করে তৈরি করা হয়েছে বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। তবে ১ বছর ৯ মাস পার হলেও হাসপাতালটিতে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু হয়নি। মৌলিক পরীক্ষায় হাতেগোনা কয়েকটি যন্ত্র কালেভদ্রে ব্যবহার হলেও আদতে পরিপূর্ণ সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা। পুরোদমে সেবা নিশ্চিত ও হাসপাতালটি পরিচালনায় আলাদা আইন প্রয়োজন বলে জানান বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

শিশুর হাতে দেয়া প্লাস্টিকের খেলনা কতটা স্বাস্থ্যকর?
শিশুর শৈশবের খেলনার ৩৮ শতাংশই প্লাস্টিকের দখলে। বেসরকারি সংস্থা-এসডো'র গবেষণা বলছে, এসব খেলনায় আশঙ্কাজনকভাবে উপস্থিতি বাড়ছে সীসা, পারদ, ক্যাডমিয়ামের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিকের। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষতিকারক পদার্থ শিশুদের শারীরিক বিকাশ ব্যাহত করছে। বিএসটিআই বলছে, উৎপাদনকারী বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের মান নিয়ন্ত্রণ বাধ্যতামূলক নয়। যা নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস তাদের।

ভ্রাম্যমাণ দোকানের শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকির শঙ্কা
টানা তাপপ্রবাহে নাভিশ্বাস হলেও কর্মবিরতির সুযোগ নেই শ্রমজীবীদের। কাজের প্রয়োজনে নিয়মিত বের হতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই। আর তপ্ত দুপুরে ভ্রাম্যমাণ দোকানের শরবতে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন নানা বয়সী মানুষ। আর এসব দোকানের শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকির শঙ্কা।

শ্রমিকের স্বাস্থ্যঝুঁকির প্রভাব শ্রম অর্থনীতিতে
জীবিকার খোঁজে দেশের নানাপ্রান্ত থেকে শহরে আসা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আয়-রোজগার সামান্য। শেষমেশ ঠাঁই হয় ঘিঞ্জিবস্তি এলাকায়। এবারের তীব্র গরম তাদের জীবনে তৈরি করেছে আরও সংকট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বস্তির বেশিরভাগ মানুষই কোনো না কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত। এতে নষ্ট হচ্ছে কর্মপরিবেশ। প্রভাব পড়ছে শ্রম অর্থনীতিতে।