ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী নারী। অথচ তাদের জন্য নির্ধারিত মাত্র ৫টি আবাসিক হল, যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপর্যাপ্ত। আবাসন সংকট, নিম্নমানের খাবার এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলের পর আশা ছিল, বদলাবে তাদের দৈনন্দিন দুর্ভোগের চিত্রও।
কিন্তু বাস্তবে কতটা পরিবর্তন এসেছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
উমামা ফাতেমা বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে আমরা যে সমস্যা খুঁজে পেয়েছি তা হলো মেয়েদের আবাসনের সংকট। ছোট ছোট হলগুলোতে এত বেশি সংকট শিক্ষার্থীকে জায়গা দেয়া সম্ভব না। সেক্ষেত্রে আমাদের হল প্রশাসন অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু আবাসন সমস্যা তাদের ক্ষেত্রে সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না।’
ভাত, একটি ছোট মাছের টুকরা আর পাতলা ডাল দাম ও মানের সামঞ্জস্য নেই মোটেও। আবাসনের পাশাপাশি খাবারের মান নিয়ে অসন্তোষ তো রয়েছেই, সঙ্গে রয়েছে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা।
শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, 'যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে সেই সংস্কারের আগেও আমি হলে ছিলাম। সেই সময়ে আবাসন ও খাবার নিয়ে মেয়েদের যে ভোগান্তি ছিল তা এখনো আছে। কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়তো তখন আমরা অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাইতাম না।'
অন্যদিকে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলে প্রবেশ করতে না পারায় পড়তে হয় নানা সমস্যায়।
শিক্ষার্থীদের আরেকজন বলেন, ‘অনাবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে আমার জন্য কষ্ট যে প্রতিদিন অনেকদূর থেকে এসে ক্লাস করা। পরীক্ষার মধ্যে এমন হয় যাতায়াত করতেই সময় চলে যায় পড়ার সময় থাকে না।’
এ বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষের দাবি নতুন হল নির্মাণের মাধ্যমে শিগগিরই কমে আসবে আবাসন সংকট। নারী শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে বলেও জানালেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের প্রভোস্ট ড. নাসরিন সুলতানা বলেন, ‘টাকা অনুমোদন হয়েছে। মেয়েদের হল হচ্ছে। জায়গাও দেয়া হয়েছে আশা করছি যদি হল হয়ে যায় তাহলে ১ হাজার ৫০০ মেয়ে আবাসনে থাকতে পারবে। এর ফলে মেয়েদের কিছুটা সমস্যা দূর হবে।’
শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, খুব শিগগিরই গড়ে উঠবে আরো শিক্ষার্থীবান্ধব হল। তাদের প্রত্যাশা আবাসন সংকট দূর হোক, নিশ্চিত হোক নিরাপত্তা ও মানসম্মত পরিবেশ।