আজ (শুক্রবার, ২৭ জুন) এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার বলেন, ‘মানবিক বিবেচনায় ওই শিক্ষার্থীর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত আইন ও বিধির আলোকে সমাধানের চেষ্টা চলছে। পরীক্ষার্থীকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর মানবিক সংকটে দাঁড়ানো আমাদের সকলের দায়িত্ব। আইন ও বিধির সীমারেখায় থেকে আমরা তার পাশে থাকতে চাই।’
বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ কেন্দ্রের এক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা না দিতে পারার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। পরীক্ষা দিতে না পারায় ওই কেন্দ্রের সামনে তাকে কাঁদতে দেখা যায়। তবুও ওই শিক্ষার্থী কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেনি। বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষা শুরুর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্রে পৌঁছেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের বাইরে কেন্দ্রে পৌঁছানোয় তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং দায়িত্বরতরা জানিয়ে দেন, নিয়মের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
ওই শিক্ষার্থীর খালা গণমাধ্যমকে জানান, মেয়েটির বাবা নেই। সকালে তার মা স্ট্রোক করেছেন। পুরো পরিবারে কেউ নেই যে, তার দায়িত্ব নিতে পারে। তাই মেয়েটিই মাকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান। সেখান থেকে দৌড়ে এসে পরীক্ষা দিতে এসেও হলে ঢুকতে পারেননি। কেন্দ্রের গেটের বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারলে সাধারণত তা পুনরায় নেওয়ার সুযোগ থাকে না। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছু ব্যতিক্রমী নজির রয়েছে, যেগুলো শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে বিবেচনায় আনা হয়।