দুপুর বারোটার কিছু পরে নরসিংদীর ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানায় পৌঁছান শেখ হাসিনা। প্রথমেই ঘুরে দেখেন ১১০ একর জায়গায় গড়ে ওঠা সার উৎপাদন কেন্দ্রটি। তারপর প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হন সুধী সমাবেশে। সমাবেশের শুরুতেই স্মারক ডাক উন্মোচন করেন সরকারপ্রধান। এসময় কৃষিতে নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা বলেন, 'সার কারখানাটি উৎপাদনে গেলে আমদানি নির্ভরতা কমবে। এতে নিজস্ব উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ।'
২০২০ সালের মার্চে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগেই কাজ শেষ করে যাত্রা শুরু করলো কেন্দ্রটি। যৌথভাবে যে কাজ শেষ করেছে জাপান ও চায়নার দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সার কারখানা নির্মাণে ব্যয় হয়েছে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এটি দৈনিক উৎপাদন করবে ২ হাজার ৮০০ টন সার। পুরোদমে কাজ শুরু হলে কর্মসংস্থান হবে অন্তত ৩০ হাজার মানুষের।
কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে গেলো ১৫ বছরে এইখাতে উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ আর শিল্পায়নের ভিড়ে খাদ্য উৎপাদন সমুন্নত রাখা একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি কৃষিখাতেও অগ্রগতি হচ্ছে সমানতালে। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষায় কৃষিজ পণ্য উৎপাদনে সারের জোগান বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।
প্রতিবছরই প্রায় ১৫ লাখ টন সার আমদানি করতে হয়। যা কৃষি অর্থনীতির মসৃণ পথে পিছুটান। এবার সময় এসেছে সেই সংকট কাটানোর। আভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে সার উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পথে।