শুরুতে হেলিকপ্টারকে বিলাসবহুল বাহন মনে করা হলেও দিন দিন এটি পরিণত হয়েছে প্রয়োজনে। ব্যবসার কাজে বাংলাদেশে আসা বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরাই এর মূল ব্যবহারকারী।
ঢাকা থেকে দূরবর্তী চট্টগ্রাম, সিলেটের মতো শহরের পাশাপাশি ঢাকার কাছাকাছি কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর কিংবা ময়মনসিংহে কারখানা পরিদর্শন করতে তারা হরহামেশাই ব্যবহার করেন দ্রুত গতির এই যানটি।
এছাড়াও দেশে চলমান মেগাপ্রকল্প গুলোতে কর্মরত বিদেশিরা, দেশিয় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা, জরুরি মেডিকেল সেবা, রাজনৈতিক নেতাদের ভ্রমণ, নাটক সিনেমার শুটিং এমনকি বিনোদনেও ব্যবহার বাড়ছে হেলিকপ্টারের।
বিদেশি এক বিনিয়োগকারী বলেন, আমাদের ২/৩ টি মিটিং আছে। খুবই ব্যস্ত সূচী। তাই আমরা সময় সাশ্রয়ের জন্য হেলিকপ্টার নিয়েছি। যেন কাজ সেরে দ্রুত বিমানবন্দরে ফেরত আসতে পারি।'
ক্যাপ্টেন রেজাউর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশে বেশিরভাগই বেল ও রবিনসন কোম্পানির হেলিকপ্টার আছে। এছাড়াও ইউরো ও আগস্টা হেলিকপ্টারও আছে’
২০১৯ থেকে ২০২৩ এর জুন পর্যন্ত এই সাড়ে তিন বছরে দেশের হেলিকপ্টারগুলো ৪৭ হাজার যাত্রী পরিবহন করেছে। যার মধ্যে ৮৫ শতাংশই বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী। আর মাত্র ১৫ শতাংশ মেডিকেল ও অন্যান্য খাতের ব্যবহারকারী।
দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখা এই শিল্পটি ভুগছে নানাবিধ সংকটে। যার মধ্যে অন্যতম হেলিপোর্ট না থাকা। বাধ্য হয়েই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি অংশে ফ্লাইট পরিচালনা করতে হচ্ছে। আছে দক্ষ জনশক্তির সংকট।
অতিরিক্ত হ্যাঙ্গার ভাড়া ও জেট ফুয়েলের দাম সামলাতেও হিমশিম খেতে হয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে। নেই দেশের হেলিপ্যাডগুলো থেকে উড্ডয়ন ও অবতরণের অনুমতি।
দেশের আকাশে বাণিজ্যিকভাবে যান্ত্রিক এই পাখিটি উড়তে শুরু করে ১৯৯৯ সালে, সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইন্সের হাত ধরে।