৯ মাসেও দলটিকে নিষিদ্ধ না করে সরকার জুলাই হতাহতদের রক্তের সাথে বেইমানি করেছে বলে অভিযোগ করেন তারা। তাদের দাবি, অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ দলটিকে গোপনে সহায়তা করছে।
দুপুরে ময়মনসিংহের চড়পাড়া মোড়ে জড়ো হয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্র-জনতা। এসময় জুলাই গণহত্যার বিচার, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে জুলুম-নির্যাতন, গুম-খুনের বিচার এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়। যতদিন নিষিদ্ধ করা না হয় ততদিন দাবি আদায়ে সোচ্চার থাকার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
একই দাবিতে আজ দুপুরে রাজশাহী নগরীর তালাইমারী এলাকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, মহানগর ও বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শিক্ষার্থী ও জনতা মিছিল নিয়ে অবস্থান নেন। এসময় আন্দোলনকারীরা দীর্ঘ নয় মাসেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করেন।
কিশোরগঞ্জেও বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ‘জুলাই বিপ্লবী’ ছাত্র-জনতা। শহরের শহীদি মসজিদ চত্বর থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে গৌরাঙ্গ বাজার মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ছাত্র-জনতা।
এদিকে, নোয়াখালী সুপার মার্কেটের সামনে থেকে বিপ্লবী ছাত্র-জনতার ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে শেষে নোয়াখালী জেলা স্কুলের সামনে শেষ হয়।
এসময় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ‘জুলাই বিপ্লবী’ ছাত্র-জনতা।