তিনি বলেন, ‘শাহবাগ ও যমুনায় কিছু স্লোগান লক্ষ্য করেছি, ‘স্বল্প সংখ্যক লোকের সেই স্লোগান আমাদের ব্যথিত করেছে, মনে দাগ কেটেছে। শাহবাগ ও যমুনায় নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন হতে পারতো। কিন্তু সেই শাহবাগে যদি জাতীয় সংগীত গাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা আসে, বিএনপিকে কেউ কেউ ভুয়া বলে স্লোগান দিতে চায়, কেউ যদি বলে গোলাম আজমের বাংলায়- এ কথাগুলো আমাদের মনের মধ্যে দাগ কাটে।’
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘দেশের জন্য লড়াই সংগ্রাম করবো। গণতন্ত্র আমাদের প্রতিষ্ঠিত করতেই হবে। জনগণের সরকার আমাদের প্রয়োজন। কারণ জনগণের সরকারেই আস্থা বিশ্বাস ও স্থিতিশীলতা। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল। বিএনপির মধ্যে কোনো ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারী শাসন ও কর্তৃত্ববাদী শাসন ছিলনা। তাই এখনো সময় আছে আসুন আমরা সবাই দেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধ থাকি।’
তিনি বলেন, ‘সামনের দিনগুলো আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দিনগুলোতে আমাদের আরো ত্যাগ স্বীকার করতে হবে, আগেও আমরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। আমাদের লড়াই সংগ্রাম কিন্তু এখনো শেষ হয়নি। আমরা মনে করছি দেশ গড়তে হলে সবাইকে নিয়ে দেশ গড়তে হবে। কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পৌছাতে হলে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করেছি। কিন্তু কেন কী কারণে শাহবাগে কারো কারো উপস্থিতিতে এ ধরণের স্লোগান দেয়া হয়েছে, তারা আসলে কী চায়? কাদের মধ্যে দেশপ্রেম আছে সেটি বিচার বিশ্লেষণের সময় কিন্তু এখন। তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হওয়ার প্রয়োজন।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান, সদস্য নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, এমরান হোসেন প্রমুখ।
