সেখানে বলা হয়, ‘আমরা দেখেছি জুলাই অভ্যুত্থানে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ চলতি মাসেই কোনো রকম বাধা-বিপত্তি ছাড়াই দেশত্যাগ করেছেন। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রিত ৬২৬ জন ব্যক্তির পরিচয় এখনো প্রকাশিত হয়নি। উপরন্তু, জুলাই গণহত্যার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত পতিত ফ্যাসিবাদী ও তার সমর্থকরা এখনও জনপরিসরে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এদেশের নাগরিক বিরোধী অপতৎপরতা জারি রেখেছে। ফলে জুলাই গণহত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় না এনে এ ধরণের লোক দেখানো ও ঢালাওভাবে আসামি করা মামলায় গ্রেপ্তার ও জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণের ঘটনা গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে লঘু করে দেখানোর প্রবণতা সৃষ্টি করছে।’
আরো বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামো ও প্রশাসনের মধ্যে থাকা একটি পক্ষ এই ধরণের অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ‘জুলাই গণহত্যা’ এবং এর বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। অথচ এখন পর্যন্ত এই গণহত্যার বিচারে আমরা দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। বিচার কার্যক্রমকে গতিশীল করতে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–২ গঠনের সিদ্ধান্ত নিলেও এখন পর্যন্ত সেটার বাস্তবায়নকল্পে আমরা কোনো প্রজ্ঞাপন দেখতে পাইনি।’
আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই জুলাই গণহত্যার বিচারপ্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
সেই লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে আশু ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানানো হয় এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
এছাড়াও, হরেদরে মামলা এবং মামলা বাণিজ্যের বিষয়টিকে আমলে নিয়ে মামলা গ্রহণের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আহ্বান জানায় এনসিপি।
উল্লেখ্য, ভাটারা থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গতকাল রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।—প্রেস বিজ্ঞপ্তি