মঞ্জু বলেন, ‘হাজারো প্রাণ আর রক্তের স্রোত মাড়িয়ে যে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে, তার প্রধান আকাঙ্ক্ষা ছিল ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ। অথচ এখনও যদি আগের মতো নিয়োগপ্রক্রিয়া বজায় থাকে, তাহলে বুঝতে হবে কেউই এই নীতির পরিবর্তন চায় না।’
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি এবং সাংবিধানিক-সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এবি পার্টির পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশ নেন চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক।
আলোচনার প্রসঙ্গে মঞ্জু বলেন, ‘সমতা, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও পক্ষপাতহীনতা—এসব মূলনীতি অন্তর্ভুক্ত করলেই সব পক্ষের মতামত প্রতিফলিত হতো। কিন্তু শুধুমাত্র ভাষার হেরফেরের কারণে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, কোনো বিষয়ে একমত হবো না, এটাই যেন আমাদের আলোচনার মূলনীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘অতীতে শেখ হাসিনা দলীয় লোক বসিয়ে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছেন। এখন সেই ব্যবস্থাই যদি বহাল থাকে, তাহলে বুঝতে হবে কেউ ফ্যাসিবাদী সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চায় না।’
এবি পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক বলেন, ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ পদে নিয়োগের প্রস্তাবিত কমিটি গঠন হলে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ দুর্বল হয়ে পড়বে, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বরং এতে স্বচ্ছতা বাড়বে, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকটি দলকে তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শের বাইরে এসে ঐকমত্যের পথে অগ্রসর হতে হবে। না হলে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে না এবং জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়ন হবে না।’