দীর্ঘ ১৫ মাস পর আবারও মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফেরা। আর সেই ফেরাটাকে বেশ স্মরণীয়ই করে রেখেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে বল হাতে তাসকিন আহমেদ-মুস্তাফিজুর রহমানদের পারফরম্যান্স নিশ্চিতভাবেই মন ভরিয়েছে ক্রিকেট সমর্থকদের।
মাত্র ১১০ রানে সফরকারীদের আটকে রেখে ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছিলেন বোলাররাই। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পাকিস্তানকে প্রথমবার অলআউট করার কৃতিত্ব দেখিয়েছে বাংলাদেশ।
অবশ্য মিরপুরে পাকিস্তানের ব্যাটিং ইউনিটের ভরাডুবি এবারই প্রথম না। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের সর্বনিম্ন ৫ সংগ্রহই ‘হোম অব ক্রিকেট’ নামে পরিচিত এ মাঠে। ১৫০ এর বেশি স্কোর করতে পেরেছে মোটে এক বার।
সামগ্রিকভাবে ঢাকার এই পিচে পাকিস্তান ১৬০ এর বেশি স্কোর করতে পেরেছে মোটে ২ বার। আর সেটাও ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। পরের ১১ বছর মিরপুরের মাঠে বারবার হতাশ হয়েছে ম্যান ইন গ্রিনরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের তিন হারের সবকটিই এখানেই।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য ঢাকার ধীরগতির উইকেটের প্রতি অভিযোগ পাকিস্তানের হেডকোচ মাইক হেসনের। তার ভাষ্য, এমন এক পিচ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য কোনোভাবেই আদর্শ নয়। যদিও পিচের দোহাই দিয়ে দলের ব্যাটারদের ভুলগুলোকেও অস্বীকার করতে নারাজ তিনি।
সিরিজের পরের দুই ম্যাচ ২২ এবং ২৪ জুলাই। প্রথম ম্যাচের পরেই পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা বলেছেন, পরের দুই ম্যাচের জন্য এই মাঠের কন্ডিশন বিবেচনায় রেখে প্রস্তুত হতে চায় তার দল। তবে মিরপুরও পরের দুই ম্যাচে কেমন পরিস্থিতি উপহার দিচ্ছে সফরকারীদের, সেটাও এক অনিশ্চিত গল্প।