তিনি বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন নিয়ে দ্বিমুখী অবস্থান নিচ্ছে। একদিকে তারা নির্বাচনের তারিখ পেছানোর কথা বলছে, আর অন্যদিকে নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করছে।’
তিনি বলেন, ‘উনাদের সম্পর্কে আমাদের রাজনৈতিক যে স্টাডি, যুগ যুগ ধরে তারা জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝতে চায় না। যদি তারা জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝতে পারতো, তাহলে তারা একাত্তরের বিরোধিতা করতো না। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার সাথে গিয়ে এরশাদের মতো একজন স্বৈরাচারের সাথে নির্বাচনে তারা অংশ নিতো না। জনগণের মূল্যকে তারা কোনোদিনই পাত্তা দিতে চায় না, তারা সব সময় নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা লাভের আশায় কাজ করেন। আর এই ফায়দা লুটতে গিয়ে তারা বারবার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এখন নির্বাচন করলে দুই-তিনটার বেশি উনারা পান না। উনারা কোনোদিনই অঙ্গীকার রক্ষা করেননি, যেটি বেগম খালেদা জিয়া করেছেন, তারেক রহমানও অঙ্গীকার রক্ষা করেছেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বর্তমান সরকার যেন কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য নির্বাচন পেছাতে না পারে এটাই দেশের জনগণের প্রত্যাশা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছি কারবালার ইতিহাস আমাদের জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা চেয়েছি- মানুষের নাগরিক অধিকার, প্রকৃত গণতন্ত্র। প্রকৃত গণতন্ত্রের চর্চা থাকলে সত্য কথা উচ্চারণ করা যায়, ন্যায়ের পক্ষে সংগ্রাম করা যায়। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন মানুষের প্রত্যাশা, যেটি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সম্পূর্ণ হবে। এটার জন্যই তো ১৫-১৬ বছরের লড়াই।’