তিনি বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ব্যাপক রাজনীতিকরণের কারণে শিক্ষা এক জায়গায় গিয়ে থেমে গেছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষা ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। শিক্ষাকে রাজনীতির বাইরে রাখা হবে। জিডিপির ৫ শতাংশ শিক্ষার জন্য বরাদ্দ দেবে।’
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষকরা আগামীর নাগরিক তৈরির কারিগর। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য থাকতে পারে না। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রাথমিক পর্যায় থেকে বৈশ্বিক চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ দেবে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ দেশে স্থিতিশীলতা ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। নির্বাচিত সরকার ব্যতীত দেশের সার্বিক পরিবর্তন সম্ভব নয়।‘
তিনি আরো বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে এর বাইরে সময় নষ্ট না করে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। সংস্কার ও সনদের দোহাই দিয়ে নির্বাচনের বাইরে গেলে তা দেশের জন্য বিপজ্জনক হবে।’ জনগণ সেটা মেনে নেবে না বলেও সতর্ক করেন বিএনপির এ নেতা।
এর আগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে সকালে শুরু হয় সম্মেলনের মূল পর্ব। উদ্বোধন করেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের অতিরিক্ত মহাসচিব মো. জাকির হোসেন।
চট্টগ্রাম নগরী ও উত্তর জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষকরা সম্মেলনে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষক নেতারা সরকারী বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বেতন ও গ্রেডের বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের আনার আহবান জানান। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো সেলিম ভূঁইয়া।